রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৪ উইকেটে ২১৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন মেহেরব ও প্রিতম। সকালের শুরুতেই পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটি পূর্ণ করেন তারা দুজন। যদিও চতুর্থ দিন সকালে খুব বেশি সময় ব্যাটিং করতে পারেনি মেহেরব-প্রিতম জুটি। দিনের পঞ্চম ওভারেই ফেরেন মেহেরব।
৬ রান যোগ করে ৭৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে বাঁহাতি এই ব্যাটার ফেরেন নাঈম হাসানের বলে সাদিকুর রহমান সাদিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পরবর্তীতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন প্রিতম ও শাখির। তারা দুজনে মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। সাবধানী ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে হাঁটছিলেন প্রিতম। যদিও তাকে তিন অঙ্ক ছুঁতে দেননি নাঈম। ডানহাতি অফ স্পিনারের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে ফেরেন ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১৪৩ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলা প্রিতম।
এরপর তাইজুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন শাখির। তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ৫৭ রানের জুটি। মাহমুদুল জয়ের বলে ফেরার আগে ৬ চারে ৩০ বলে ৩০ রান করেছেন তাইজুল।একটু পর হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন শাখির। যদিও পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরই ফিরতে হয়েছে তাকে। ৯৬ বলে ৫২ রান করা ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন হাসান মুরাদ।
শেষের দিকে সুজন হাওলাদার ৫৯ বলে ১৫ রান করে কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। ৪৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রাজশাহী শেষ পর্যন্ত থামে ৩৭০ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে মুরাদ তিনটি এবং দুইটি করে উইকেট নেন আহমেদ শরীফ ও নাঈম। প্রথম ইনিংসে ১২৯ রান করা ইয়াসির দ্বিতীয় ইনিংসে করেছেন ৯২ রান। এমন পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে ব্যাটিংয়ে প্রস্তুতিটা ভালো হয়েছে মাহমুদুল জয়েরও। প্রথম ইনিংসে ১২৭ রান করা ডানহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেছেন। তবে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন মুমিনুল। বাংলাদেশের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক প্রথম ইনিংসে ১৩ ও দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রান করেছেন। তাইজুল দুই ইনিংসে ৬টি ও নাঈম তিনটি উইকেট নিয়েছেন।