তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নেন ব্যাটিংয়ে আসা রংপুরের পেসার আব্দুল গাফফার সাকলাইন। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন হাশিমও। শেষ দুই বলে যখন ২ রান প্রয়োজন এমন সময় লং অফের উপর দিয়ে চার মেরে রংপুরের এক উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন আব্দুল গাফফার। ঢাকা বিভাগের ১২৩ রানের জবাবে এক বল বাকি থাকতে শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় রংপুর। সিলেটে লো স্কোরিং থ্রিলার জিতে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছেন আকবররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরুর আভাস দেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অনিক সরকার। তাদের দুজনের ২৫ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে শুভাগত হোমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৯ রান করা মামুন। পরের ওভারে আউট হয়েছেন অনিকও। স্পিনার মাহফুজুর রহমান রাব্বির বলে মোসাদ্দেক হোসেনকে ক্যাচ দেন ১৬ রান করা এই ব্যাটার।
পাওয়ার প্লে শেষ হতেই ফিরেছেন জাহিদ জাভেদ। একটু পর আউট হয়েছেন ইকবাল হোসেন ইমনও। ঢাকা বিভাগের বোলারদের চাপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর। নাসির হোসেন ও নাইম ইসলামের বিদায়ে আরও চাপ বাড়ে। ৫২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন নাসুম আহমেদ ও আকবর। তাদের দুজনের ব্যাটেই ধাক্কা সামাল দেয় রংপুর। তাদের দুজনের জুটি ভাঙে ২৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলা নাসুমের বিদায়ে।
বোলিংয়ে ২ উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে জ্বলে উঠতে পারেননি আলাউদ্দিন বাবু। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ২৭ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে রংপুরকে জেতান আকবর। ঢাকা বিভাগকে বিদায়ে করা ইনিংসে ম্যাচসেরাও হয়েছেন রংপুরের অধিনায়ক। ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন মাহফুজুর। এ ছাড়া দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন নাজমুল অপু, রিপন ও রায়ান রাফসান রহমান।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা বিভাগও। আশিকুর রহমান শিবলী, জিসান আলম, আরিফুল কিংবা অঙ্কন, কেউই ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ৬ ছক্কা ও ২ চারে ৩৬ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি ব্যাটারের এমন ইনিংসেই শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানের পুঁজি পায় ঢাকা। রংপুরের হয়ে দুইটি করে উইকেট পেয়েছেন নাসুম, হাশিম, নাসির ও আলাউদ্দিন।