বিজয়ের সেঞ্চুরি ম্লান করে আবাহনীর আরেকটি জয়

ছবি: গাজীর হয়ে আরেকটি সেঞ্চুরি বিজয়ের

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে আবাহনী। দুই ওপেনার শাহরিয়ার কমল ও পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা করে দলটি। দুই ওপেনার মিলে দলকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ১০০'র ঘরে নিয়ে যান। তবে হাফ সেঞ্চুরি থেকে খানিকটা দূরে ব্যক্তিগত ৪৫ রানে ইমনের উইকেট তুলে নেন ওয়াসি সিদ্দিকী।
সিসিডিএমে যোগ দিচ্ছেন ফাহিম
৩ ঘন্টা আগে
এই ধাক্কা সামাল দিতে দিতে আবারও হোঁচট খায় আবাহনী। নিজের প্রথম বলেই ওয়াসিকে উইকেট ছুঁড়ে দেন জিশান। খানিক পর চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও ফিরে যান। তবে ৩ উইকেট হারালেও কমল ও মেহেরব হোসেন অহিন মিলে দলের হাল ধরেন। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার সঙ্গে কমল হাঁটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে।

তবে ইনিংসের ৩২তম ওভারে ১০০ বলে ৯৬ রান করা এই ওপেনারকে বিদায় করেন শেখ পারভেজ জীবন। দারুণ খেলতে থাকা অহিনও খানিক পর বিদায় নেন রান আউটের ফাঁদে পড়ে। এই জুটি ভাঙার পর আর অবশ্য দাঁড়াতে পারেননি আবাহনীর কোন ব্যাটার। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ৪৮.২ ওভারে ২৪৯ রানে গুটিয়ে যায় আবাহনীর ইনিংস। গাজীর হয়ে ওয়াসি তুলে নেন ৪৯ রানে ৪ উইকেট।
সাইফউদ্দিন-ইবাদতের নৈপুণ্যের পর রনির সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের জয়
২০ এপ্রিল ২৫
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে গাজী। রিপন মন্ডলের বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরে যান সাদিকুর। সঙ্গীকে হারালেও তিনে নামা শামসুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন এনামুল হক বিজয়। দুই ব্যাটারের কল্যাণে দলের রান দ্রতই ৫০ পার হয়। তবে বোলিংয়ে এসে জোড়া আঘাত হানেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শুভ ও ৩ রান করা সাব্বির হোসেনের উইকেট তুলে নেন।
এরপর ওয়াসির সঙ্গে জুটি গড়ে দলের হাল ধরেন বিজয়। তাদের জুটিতে দলের রান ১০০ পার হয়। এই দুজনের ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখছিল গাজী। এই জুটির পথেই বিজয় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। কিন্তু ১৩৫ থেকে ১৮২ রানের মাঝে বিজয় একপ্রান্ত আগলে রাখলেও বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন। ওয়াসি বিদায় নেন ৩৮ রান করে।
একের পর এক সঙ্গী হারানোর পরও বিজয় তুলে নেন সেঞ্চুরি। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা আব্দুল গাফফার ১৭ রানে ফিরে যান। বিজয়ও দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে ১১৩ বলে ১০৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষ ৬ বলে ১৫ রান প্রয়োজন হলে শেষ পর্যন্ত নীচের সারির ব্যাটার আবু হাশিম প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকালেও তৃতীয় বলে মৃত্যুঞ্জয়কে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে মোসাদ্দেকের তালুবন্দি হন। ফলে ১০ রানে জয় পায় আবাহনী।