ইবাদতের আগুনে বোলিংয়ের পর মিরাজ-হৃদয়ের ব্যাটে মোহামেডানের জয়

ছবি: মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয় মিলে ৯১ রানের জুটি গড়েছেন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৭৪ রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় মোহামেডান। হাসান মাহমুদের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন রনি তালকুদার। আরেক ওপেনার আরাফাত সানি জুনিয়র আউট হয়েছেন একটু পরই। শামীম হোসেন পাটোয়ারির শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি।
সিনিয়ররা অবসর নিয়েছেন, এখন আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে: মিরাজ
২২ ঘন্টা আগে
রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১৯ রান করা আরাফাত। দারুণ ছন্দে থাকা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও সুবিধা করতে পারেননি। হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের নিচু হওয়া ডেলিভারিতে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ইরফানের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার। যদিও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট হতে পারছিলেন না তিনি। অপরপ্রান্তে থাকা হৃদয়ও সংশয় প্রকাশ করছিলেন। ১০ রান করা অঙ্কন আউট হওয়ার পর একটু পর ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
সৈয়দ খালেদ আহমেদের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন মিরাজ ও হৃদয়। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৯১ রান। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। আরেক ব্যাটার হৃদয় পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫২ বলে। যদিও ডানহাতি ব্যাটারের বিদায়েই ভাঙে মিরাজের সঙ্গে তার জুটি।

হাসানের গুড লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন হৃদয়। ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরতে হয় তাকে। তবে আরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে মোহামেডানের জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন হাসান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন খালেদ ও শামীম।
তামিমের জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন হৃদয়
৪ এপ্রিল ২৫
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে প্রাইম ব্যাংক। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নাইম শেখ। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় সাত বলে ১৮ রান করে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়েন এই ওপেনার। নাইমকে ফেরানোর পর জাকির হাসানকে বোল্ড করেন ইবাদত হোসেন। পাঁচ বল খেলা জাকির এ দিন রানের খাতাই খুলতে পারেননি। মাঝে পাঁচ বলে এক রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন শাহাদাত হোসেন দিপু। এরপর ১৩ বলে সাত রান করা আবদুল্লাহ আল মামুনকে ফেরান ইবাদত।
এই পেসারের গুড লেংথের ডেলিভারিতে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মামুন। উইকেট শিকারের মিছিলে ইবাদতের পিছু নেন আবু হায়দার রনি। সাজ্জাদুল হক রিপন তার অফ স্টাম্প তাক করা গুড লেংথের বলে মিড অফে লফটেড শট খেলতে গিয়ে বিদায় নেন। জাকিরের মতো তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি। এরপর ২১ বলে ১৯ রান করা ইরফান শুক্কুরকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ৬৭ রানে পাঁচ উইকেট হারায় দলটি।
খাদ থেকে দলটিকে টেনে তোলেন শামীম। ৬১ বলে দশটি চার ও চারটি ছক্কায় ৮৯ রান করে দলের রান দেড়শ পার করান তিনি। ৪০ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন আরাফাত সানি। প্রাইম ব্যাংকের লেজের সারির ব্যাটারদের ফেরান তাইজুল ইসলাম। এ দিন মাত্র পাঁচ রান খরচায় চার উইকেট নেন এই স্পিনার। রিশাদ, খালেদ, সানির উইকেটের পাশাপাশি পুনরায় মাঠে ফেরা দিপুকেও ফেরান তিনি। ৩২.২ ওভারে ১৭৪ রানে অল আউট হয় প্রাইম ব্যাংক।