বিজয়ের সেঞ্চুরিতে লিটনদের হারাল গাজী ক্রিকেটার্স

ছবি: অপরাজিত ১৪৪ রানের ইনিংস খেলে গাজী ক্রিকেটার্সের জয়ের নায়ক এনামুল হক বিজয়, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকেন সাদিকুর রহমান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন বিজয়ও। পাশাপাশি জড়তা কাটিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। দারুণ ছন্দে থাকা গাজী ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক ৪৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। বিজয়ের পঞ্চাশ ছোঁয়ার একটু পর ফিরেছেন সাদিকুর।
মোহামেডানকে হারিয়ে দুইয়ে বিজয়ের গাজী ক্রিকেটার্স
১৮ মার্চ ২৫
তাদের দুজনের ১০৬ রানের জুটি ভাঙেন ইলিয়াস। বাঁহাতি স্পিনারের বলে আউট হয়েছেন ৪০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলা সাদিকুর। তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শামসুর রহমান শুভ। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন ইলিয়াসই। ১৪ রান করা গাজী তাহজিবুল ইসলামের উইকেটও নিয়েছেন তিনি। দ্রুত তিন উইকেট হারালেও সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন বিজয়। একটু পর আউট হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
পেসার আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ১০ রান করা এই ব্যাটার। ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তোফায়েল আহমেদ। বাঁহাতি স্পিনার নিহাদ উজ জামানের বলে আউট হয়েছেন তিনি। আব্দুল গাফফার সাকলাইনও আউট হয়েছেন ৪ রানে। বাকিরা দ্রুত ফিরলেও ১১২ বলে সেঞ্চুরি করেন বিজয়। চলতি ডিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। গাজী ক্রিকেটার্সকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ১৪৪ রানে অপরাজিত থেকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাটিং করছিলেন আজিজুল হাকিম তামিম ও জাওয়াদ আবরার। যদিও তাদের দুজনের জুটি খুব বেশি বড় হতে দেননি শেখ পারভেজ হোসেন জীবন। ডানহাতি স্পিনারের বলে অন সাইডে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ২৪ বলে ২১ রান করা জাওয়াদ। একই ওভারে ফিরতে পারতেন আজিজুল হাকিমও। যদিও বাঁহাতি ব্যাটারের এজ হওয়া ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি স্লিপ ফিল্ডার।
গাজী ক্রিকেটার্সকে হারিয়ে আবাহনীর সাতে ছয়
২১ মার্চ ২৫
জীবন পেয়ে সাবধানী ব্যাটিং করতে থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে অন্য প্রান্তে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করে গেছেন লিটন। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও পরের দুই ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। সবশেষ দুই ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে না পারা ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার গাজী ক্রিকেটার্সের সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৩৫ বলে। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রান তোলার গতি আরও বাড়িয়ে দেন লিটন।
সাবধানী ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন আজিজুল হাকিমও। ৬৯ বলে ডিপিএলে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেছেন গুলশানের অধিনায়ক। বাঁহাতি ব্যাটারকে ফিরিয়ে লিটনের সঙ্গে তার ১১৫ রানের জুটি ভেঙেছেন আবু হাশিম। বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৭৬ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলা আজিজুল হাকিম। একটু ফিরছেন লিটনও। সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরে যেতে হয় তাকে।
লিয়ন ইসলামের বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে খেলতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা তোফায়েলকে ক্যাচ দিয়েছেন ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৬২ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলা লিটন। পরবর্তীতে আলিফ হাসান ইমন ২৬ ও মোহাম্মদ ইলিয়াস ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাকিদের কেউ সুবিধা করতে না পারায় ৮ উইকেটে ২৮১ রান তুলে থামতে হয় গুলশানকে। গাজী ক্রিকেটার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাশিম, আব্দুল গাফফার সাকলাইন ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।