শান্তর সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জকে হারিয়ে শীর্ষেই আবাহনী

ছবি: ছন্দহীনতা কাটিয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে আবাহনীকে জেতালেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) তিন নম্বর মাঠে জয়ের জন্য ২৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনীর। ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফিরেছেন ছন্দে থাকা পারভেজ হোসেন ইমন। পেসার শরিফুল ইসলামের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে শেখ মেহেদী দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় ইমনকে।
সেঞ্চুরির পর শান্তর স্বস্তি
৫৪ মিনিট আগে
বাঁহাতি ওপেনার ফেরার পর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন শান্ত ও জিসান। প্রথম পাঁচ রাউন্ডে রানের দেখা না পেলেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন শান্ত। ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবাহনীর অধিনায়ক। জিসানের সঙ্গে শান্তর ১০৭ রানের জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান। পঞ্চাশ ছোঁয়ার খুব কাছে থাকলেও জিসানকে সেটা করতে দেননি ডানহাতি এই অফ স্পিনার। সাইফের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪৩ রান করা জিসান।
পরবর্তীতে মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে নিতে থাকেন শান্ত। তাদের দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে মিঠুনের বিদায়ে। শরিফুলের বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে নেয়া অবিশ্বাস্য ক্যাচে ফিরেছেন ৩৪ রান করা মিঠুন। একটু পর সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। তানভীর ইসলামের বলে লং অনে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে ১০৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন আবাহনীর অধিনায়ক।
ডিপিএলের চলমান আসরে এটি শান্তর প্রথম সেঞ্চুরি। যদিও একশ ছোঁয়ার পরের ওভারেই আউট হয়েছেন শান্ত। অফ স্পিনার মেহেদীর ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ১০১ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার। একই ওভারে ১৯ রান করা মোসাদ্দেককেও আউট করেছেন মেহেদী। একটু পর এসএম মেহেরব আউট হয়েছেন ১৮ রানে। তবে আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেছেন ৩৫ রান করা মুমিনুল হক ও ৩১ রানে অপরাজিত থাকা মাহফুজুর রহমান রাব্বি।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভালো শুরুই পেয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে বাঁহাতি ওপেনারকে ইনিংস বড় করতে দেননি নাহিদ রানা। ডানহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ২৪ রান করা তানজিদ। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে রূপগঞ্জের রান বাড়াতে থাকেন সৌম্য ও সাইফ।
পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর বড় জয়
৬ মার্চ ২৫
তাদের দুজনের জুটি ভেঙেছেন মোসাদ্দেক। ডানহাতি অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। তবে ব্যাটে-বলে করতে না পারায় বোল্ড হয়ে ফিরতে হয়েছে ২৭ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটার। একশর আগে দুই উইকেট হারালেও রূপগঞ্জকে পথ হারাতে দেননি সাইফ ও মাহমুদুল হাসান জয়। এদিন শুরু থেকেই খানিকটা ধীরগতির ব্যাটিং করছিলেন সাইফ। ৮০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
আরেক ব্যাটার জয় অবশ্য পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৪৮ বলে। তাদের দুজনের জমে ওঠা ৯৪ রানের জুটি ভেঙেছেন নাহিদ। ডানহাতি পেসারের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে লিডিং এজ হয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়েছেন ৫৮ রানের ইনিংস খেলা জয়। পরের ওভারে আউট হয়েছেন সাইফও। ৬৭ রান করা ডানহাতি ব্যাটারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন মোসাদ্দেক। পরবর্তীতে বাকিরা ভালো শুরু পেলেও শেষের দিকে কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।
এসএম মেহেরবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ২৬ রান করার করেছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন আকবর আলী। রূপগঞ্জের অধিনায়ক রাকিবুল হাসানের বলে আউট হয়েছেন মাত্র ১২ রানে। শেষের দিকে জাকের আলী অনিক ৩৫ ও শেখ মেহেদী ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। সাইফ ও জয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ২৯২ রান রান তোলে রূপগঞ্জ। আবাহনীর হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদ ও মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ- ২৯২/৬ (৫০ ওভার) (সাইফ ৬৭, জয় ৫৮, জাকের ৩৫*; মোসাদ্দেক ২/৫৭, নাহিদ ২/৭১)
আবাহনী লিমিটেড- ২৯৩/৬ (৪৮.৪ ওভার) (জিসান ৪৩, শান্ত ১০১, মিঠুন ৩৪, মুমিনুল ৩৫*, মাহফুজুর ৩১*; শরিফুল ২/৩৭, মেহেদী ২/৫৩)