তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং লিগের আড়ালে চলবে বিসিবির ‘ট্যালেন্ট হান্ট’

ছবি: লিগ শুরুর আগে এক ফ্রেমে ৬০ দলের অধিনায়করা, বিসিবি

তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং লিগে অংশ নেয়ার ফি ছিল মাত্র ৭৫ লাখ টাকা। তবে কয়েক গুন বাড়িয়ে সেটাকে ৫ লাখ নির্ধারণ করে নাজমুল হাসান পাপনের তৎকালীন ক্রিকেট বোর্ড। অংশগ্রহণ ফি বেড়ে যাওয়া ক্রশমই কমতে থাকে দলের সংখ্যা। অংশগ্রহণ ফি বাড়ানোর সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকাও বাধ্যতামূলক করায় এই লিগ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে থাকে ক্লাবগুলো।
কলকাতার নতুন সহকারী কোচ গিবসন
২০ ঘন্টা আগে
একটা সময় ৬০টি ক্লাব নিয়ে টুর্নামেন্ট হলেও পরবর্তীতে দুটি কিংবা পাঁচটি দল নিয়েও আয়োজন করেছে বিসিবি। তবে ফারুক দায়িত্ব নেয়ার পরই নিশ্চিত করেছিলেন, ঝিমিয়ে পড়া এই লিগকে আলোর পথ দেখাবেন তারা। সেটারই অংশ হিসেবে ৫ লাখের অংশগ্রহণ ফি কমিয়ে আনা হয় ১ লাখে। সেই সঙ্গে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতাও তুলে নেয়। জটিলতা কমিয়ে ফেলায় ৯২টি দল অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে।

যদিও পরবর্তীতে ৬২টি দল অংশগ্রহণ ফি জমা দেয়। সেখান থেকে বাছাই করা ৬০টি দল নিয়ে ১০ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং। ১২টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে ৬০ দলকে। যেখানে প্রতি গ্রুপে ৫টি দল রাখা হয়েছে। গ্রুপ সেরা হলে সুপার লিগে খেলার সুযোগ পাবে দলগুলো। সুপার লিগে যাওয়া ১২ দলকে আবার দুটি গ্রুপে ভাগ করা হবে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়নদের সুযোগ মিলবে তৃতীয় বিভাগ খেলার।
লিগ আয়োজন নিয়ে ফারুক বলেন, ‘এখান থেকে কিছু সহজাত প্রতিভা উঠে আসবে। সবসময় যে এখান থেকে ক্রিকেটার পাব, তা জরুরি নয়। তবে আমরা তো ট্যালেন্ট হান্টিং করতাম আগে, ওই ট্যালেন্ট হান্টিংয়ের মতো ব্যাপার হবে। তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে যারা প্রতিভাবান থাকবে, আমাদের লোকজন খেলা দেখবে, তারা প্রতিভাবান ছেলেদের খুঁজে বের করবে। সংখ্যায় যতোই হোক, পরবর্তীতে তাদের যেন আমরা পরিচর্যা করতে পারি। সহজাত প্রতিভা বের করার জন্য এই ধরনের টুর্নামেন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
তৃতীয় বিভাগ কোয়ালিফাইং লিগের ম্যাচগুলো হবে সাতটি ভিন্ন মাঠে। সিটি ক্লাবের পাশাপাশি ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে পিকেএসপির (পুবেরগাঁও ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) ১ ও ২ নম্বর গ্রাউন্ড, শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, তেঘরিয়া স্টেডিয়াম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠ এবং মাস্কো সাকিব ক্রিকেট একাডেমির মাঠকে।