পারভেজ ইমনের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর বড় জয়

ছবি: সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে ১৭১ রানের জুটি গড়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৪ নম্বর মাঠে বড় লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় গুলশান। মোহামেডানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাওয়া ইফতিখার হোসেন ইফতি ফিরেছেন দ্রুতই। ডিপিএলের চলমান আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা লিটন দাস ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে খালিদ হাসানের ব্যাট থেকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৬১ রানের বেশি তুলতে পারেনি গুলশান। প্রথম রাউন্ডে হারলেও ১৬২ রানের জয়ে পয়েন্টের খাতা খুললো আবাহনী।
বাংলাদেশ হ্যাভ ডান ইট...
৯ ফেব্রুয়ারি ২১
জয়ের জন্য ৩২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় গুলশানকে অবশ্য উড়ন্ত শুরুই এনে দেন জাওয়াদ আবরার ও লিটন। ইনিংসের প্রথম ওভারে থেকেই আবাহনীর বোলারদের উপর তাণ্ডব চালাতে থাকেন জাওয়াদ। যদিও তাদের দুজনের জুটির পঞ্চাশ হওয়ার আগেই তরুণ ওপেনারকে ফেরান মেহেদী হাসান। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ডানহাতি পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন জাওয়াদ।
টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা মুমিনুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় ১৮ বলে ৩৬ রান করা এই ব্যাটারকে। পাওয়ার প্লে শেষের আগে লিটনও আউট হয়েছেন। রাকিবুল হাসানের শর্ট ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মাহফুজুর রহমান রাব্বির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্ট শুরুর একদিন আগে দল পেলেও প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন না লিটন।

দ্বিতীয় রাউন্ডে ফিরলেও ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। রাকিবুলের বলে আউট হয়ে ফেরার আগে ১৪ রান করেছেন লিটন। পরবর্তীতে ইফতি, আজিজুল হক তামিম, শাহাদাত হোসেন সবুজরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন। গুলশানের হয়ে একপ্রান্ত আগলে ৪৯ রান করেছেন খালিদ। শেষের দিকে বাঁহাতি স্পিনার নিহাদ উজ জামান করেছেন ৩৫ রান। তাদেরকে ১৬১ রানে থামিয়ে দেয়ার দিনে আবাহনীর হয়ে রাকিবুল চারটি ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
আবাহনীর প্রধান কোচ এখন হান্নান সরকার
৭ ফেব্রুয়ারি ২৫
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীকে ভালো শুরু এনে দেন জিসান আলম ও পারভেজ ইমন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। আসাদুজ্জামান পায়েলের বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪২ বলে ৩৪ রান করা জিসান। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আজিজুলের বলে আউট হয়েছেন ২১ বরে ৯ রান করে। ৭০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন পারভেজ ইমন ও মিঠুন।
তাদের দুজনের ব্যাটেই এগিয়ে যেতে থাকে আবাহনী। ৭০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা পারভেজ ইমন সেঞ্চুরি করেছেন ১০০ বলে। অর্থাৎ পরের পঞ্চাশ রান করতে মাত্র ৩০ খেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। আরেক ব্যাটার মিঠুন পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৫০ বলে। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৭২ রানের ইনিংস খেলা মিঠুনের বিদায়ে ভেঙেছে ১৭১ রানের জুটি। শেষের দিকে আউট হওয়ার আগে ১২৬ রান করেছেন পারভেজ ইমন। এ ছাড়া মাহফুজুর রাব্বি ১৪ বলে ২৮ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২৮ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেছেন।