বাস চালকের পরিকল্পনায় কোহলিকে আউট করেছেন হিমানশু
ছবি: ড্রেসিং রুমে বিরাট কোহলির সঙ্গে হিমানশু সাংওয়ান
সবশেষ ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজিয়াবাদে উত্তর প্রদেশের বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলেছিলেন কোহলি। এক যুগের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর রঞ্জি ট্রফিতে ফেরেন তিনি। দীর্ঘ সময় ঘরের ছেলের খেলা দেখতে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ছিল উপচে পড়া ভীড়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ম্যাচের আগেরদিন রাত তিনটা থেকেই দর্শকরা স্টেডিয়ামের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
কোহলির সঙ্গে দ্বন্দ্বে কোনো অনুশোচনা নেই কনস্টাসের
২১ জানুয়ারি ২৫কোহলির পাশাপাশি ঋষভ পান্তেরও দিল্লির হয়ে খেলার কথা ছিল। যদিও দিল্লির হয়ে খেলা হয়নি বাঁহাতি ব্যাটার পান্তের। এদিকে প্রাথমিকভাবে দিল্লি-রেলওয়ে ম্যাচ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের কথা ছিল না। তবে সবার আগ্রহের কথা মাথায় রেখে ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় স্পোর্টস-১৮ ও জিও সিনেমা। দিল্লির বিপক্ষে রেলওয়ের পেস বিভাগের নেতা ছিলেন হিমানশু।
কোহলিকে সামলানোর দায়িত্বটাও ছিল তারই কাঁধে। বাসে যাওয়ার সময় ভারতের সাবেক অধিনায়কের উইকেট নেয়ার টোটকা পেয়েছিলেন বাস চালকের কাছ থেকে। সবশেষ কয়েক বছরে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অগণিতবার আউট হয়েছেন কোহলি। এসব দেখে কোহলির বিপক্ষে হিমানশুকে চতুর্থ ও পঞ্চম স্টাম্পে বোলিংয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন রেলওয়ের বাস চালক। যদিও ডানহাতি পেসার জানান, নিজের শক্তির জায়গাতেই ভরসা রেখেছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আলাপকালে হিমানশু বলেন, ‘খেলা শুরুর আগে থেকেই বিরাট কোহলি ও ঋষভ পান্তের দিল্লির হয়ে খেলা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমরা জানতাম না ম্যাচটা সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আমরা ধীরে ধীরে জানতে পারি পন্থ খেলবে না। কিন্তু কোহলি খেলবে। আমি রেলওয়েজের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলাম।’
অভিষেকের মাঝে হেড-শেবাগদের ছায়া দেখছেন হরভজন
১৬ ঘন্টা আগে‘আমরা যে বাসে যাচ্ছিলাম, সেই বাসের ড্রাইভার বলেছিলেন বিরাটকে চতুর্থ-পঞ্চম স্টাম্পের লাইনে বল করলে আউট হবে। আমার নিজের উপরে বিশ্বাস ছিল। অন্যের দুর্বলতা নিয়ে বেশি না ভেবে নিজের শক্তির উপরে জোর দিয়েছিলাম। আমি নিজের শক্তির উপরে ভরসা রেখে বল করেছিলাম এবং কোহলির উইকেট পাই।’
ম্যাচ শেষে হিমানশু যখন ড্রেসিং রুমে ফিরছিলেন তখন মাঠে প্রবেশ করছিলেন কোহলি। সেই সময় কাছে গিয়ে ডানহাতি পেসারের বোলিংয়ের প্রশংসা করেন তিনি। এ ছাড়া দিল্লির ড্রেসিং রুমে গিয়ে সেই বলেই কোহলির কাছ থেকে অটোগ্রাফ নেন হিমানশু। সেই ছবি মুহূর্তের মাঝেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। অটোগ্রাফ দেয়ার সময় রেলওয়ের পেসারের সঙ্গে মজাও করছিলেন কোহলি।
সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হিমানশু বলেন, ‘আমাদের ইনিংস শেষ হওয়ার পরে ড্রেসিং রুমে যাচ্ছিলাম, সেই সময়ে বিরাট কোহলি মাঠে আসছিল। আয়ুষ বাদোনি আর বিরাট কোহলি মাঠেই ছিল। আমাকে দেখে বিরাট ভাইয়া হাত ধরে বলে, ‘খুব ভাল বল করেছো।’ যে বলে আমি বিরাট ভাইয়াকে বোল্ড করেছিলাম, সেই বল নিয়েই অটোগ্রাফ সংগ্রহ করতে যাই বিরাট ভাইয়ার কাছে। বিরাট ভাইয়া আমার কাছে জানতে চায়, এটাই কি সেই বল। পরে আমাকে বলে, তুুমি তো মজা পেয়ে গেছো।’