বাংলাদেশের দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তারা ৪৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন চামিকা হিনাতিগালা। এর বাইরে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন আধাম হিল্মি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন শাহরিয়ার আহমেদ ও ইকবাল হোসেন ইমন। দুটি উইকেট পেয়েছেন সামিউন বশির রাতুল। একটি করে উইকেট নেন অধিনায়ক তামিম ও সাদ ইসলাম রাজিন। বোলারদের দাপটেই স্বল্প পুঁজি নিয়েও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিন দুবাইয়ে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ মিলে ১২.২ ওভারে বিনা উইকেটে তুলে ফেলেন ৮৪ রান। এরপর আবরার ৩৬ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। এরপর টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার রিফাতও।
তিনি আউট হয়েছেন ৪৮ বলে ৩৬ রান করে। এরপর তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৮ বলে ২৯ রান করে তামিম আউট হওয়ার পর হঠাৎ ছন্দপতন শুরু হয়। ২ উইকেটে ১৫৬ করা বাংলাদেশ পরের ৩৫ রানে হারায় আরো ৬ উইকেট।
সেখান থেকে বাংলাদেশের ইনিংস প্রায় একাই টেনেছেন কালাম। তিনি ৬০ বলে ৩২ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেছেন। শেষের দিকে ফরিদ হাসানের ৪০ বলে ২৯ ও ইকবাল হোসেন ইমনের ১২ রানে কোনো মতে দুশ পাড় করে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কাবিজা গ্যামেজ। ভিরান চামুদিথা ও রাসিথ নিমসারা নেন ২টি করে উইকেট।