কখনো জাতীয় দলের হয়ে না খেলা সালাহউদ্দিন ঘরোয়া ক্রিকেটেও আহামরী কিছু করতে পারেননি। চোট ও নানান বাস্তবতায় কয়েক বছর খেলেই পেশাদার ক্রিকেট ছেড়ে দেন তিনি। খেলোয়াড় হিসেবে খুব বেশি দূর যেতে না পারলেও কোচিংয়ে দেশের অন্যতম সেরা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ। সালাহউদ্দিনের শুরুটা হয়েছিল বিকেএসপিতে খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে। পরে সুযোগ হয় ডিপিএলেও।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে বাজিমাতও করেন সালাহউদ্দিন। তাঁর কোচিংয়ে শিরোপা জেতে ভিক্টোরিয়া। ঘরোয়াতে ভালো করায় সুযোগ মেলে জাতীয় দলেও। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ডেভ হোয়াটমোর ও জেমি সিডন্সের কোচিং স্টাফে সহকারী ও ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব সামলেছেন। পরবর্তীতে কাজ করেছেন বিসিবির জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতেও। বিসিবির কোচিং ছেড়ে মালয়েশিয়াতে একটি বিশ্ব বিদ্যালয় দলের কোচ হিসেবেও কাজ করেন সালাহউদ্দিন।
দেশের বাইরে প্রথমবার বলার মতো কোথায় চাকরির সুযোগ মেলে তাঁর। ২০১৪ সালে কাজ করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রধান কোচ হিসেবে। সেখান থেকে ফিরে অবশ্য আবারও ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার অধিনায়কত্ব ও কোচিংয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লা। পরবর্তীতে আরও তিনবার শিরোপা জিতেছে বিপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সফল দলটি।
এসবের বাইরে সালাহউদ্দিনের কোচিংয়ে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ডিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ঘরোয়া ক্রিকেটে এত এত সাফল্য পেলেও আর ফিরতে চান না তিনি। বিপিএলের পাশাপাশি ডিপিএলেও কোচিং করানোর ইচ্ছে নেই সালাহউদ্দিনের। ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘আমি আসলে আর বিপিএল করব না (কোচিং), এ নিয়ে চিন্তাও করছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ কম।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে একের পর এক সাফল্য পাওয়ার পর আরেক দফায় জাতীয় দলে সুযোগ মেলে সালাহউদ্দিন। ১৪ বছর পর গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেন তিনি। ব্যাটিং কোচ না থাকায় লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের ব্যাটিংও সামলেছেন। দেশের কোচদের পথ পদর্শক হয়ে জাতীয় দলের দরজা খুলে দেয়া সালাহউদ্দিন স্বপ্ন দেখছে বেশ বড়ই। সেই পথে এগিয়েও যেতে চান নিজের প্রচেষ্টায়।
২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশের কোচ হিসেবে চুক্তি আছে সালাহউদ্দিনের। বাংলাদেশের চাকরি ছাড়ার পর অন্য কোন জাতীয় দলের জার্সিতে কোচিং করাতে দেখা যেতে পারে। খোলাসা করে না বললেও সেটার ধারণা পাওয়া গেছে তাঁর কথা থেকেই। বিভিন্ন জাতীয় দলের কোচিং শেষেই ইতি টানবেন তিনি। জাতীয় দল শেষেই কোচিং থেকে অবসর নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘হ্যাঁ (জাতীয় দল শেষে কোচিং থেকে অবসর), থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।’