আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বেশ সফল ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সিলেটে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ব্যাটাররা করে আট উইকেটে ৫৮৭ রান। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান মাহমুদুল হাসান জয় (১৭১) এবং নাজমুল হোসেন শান্ত (১০০)।
এ ছাড়া হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান সাদমান ইসলাম (৮০), মুমিনুল হক (৮২) এবং লিটন দাস (৬০)। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে ইনিংস এবং ৪৭ রানে। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টেও দারুণ সময় পার করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
শততম টেস্টে শতক হাঁকান মুশফিকুর রহিম (১০৬)। দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরিও (৫৩*) করেন তিনি। এ ছাড়া প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৭৬ রানে শতক হাঁকান লিটন দাসও (১২৮)। এই ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে আসে ৪৭ রান, মুমিনুল করেন ৬৩।
দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিক ছাড়াও হাফ সেঞ্চুরি করেন জয় (৬০), সাদমান (৭৮) এবং মুমিনুল (৮৭)। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯৭ রান করা বাংলাদেশ ম্যাচটি জেতে ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে।
সর্বোপরি এই সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হাত খুলে রান পেয়েছেন। যদিও প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড হওয়ার কারণে এখনই আশরাফুলকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা। তবে অনুশীলন সেশন; এমনকি ম্যাচের মাঝেও আশরাফুলের দেয়া পরামর্শগুলো নজর এড়ায়নি কারো।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে টিম ডিরেক্টর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'আশরাফুল খুব অভিজ্ঞ প্লেয়ার। যেহেতু মাত্র একটা সিরিজ কাজ করেছে... এখানে অল্প সময়ের মধ্যে বলাও মুশকিল। আসলে এইগুলো ইনক্লুশন সময়... বেশ সময় পরে বোঝা যায় যে আসলে কী ইমপ্যাক্ট পড়ছে। হুট করে একটা মানুষকে নিয়ে যেকোনো একটা মন্তব্য করে দেয়া একটু মুশকিল।'
'টেকনিকের থেকে ট্যাকটিস এর ব্যাপার তো আসলে হয়তো অবশ্যই আশরাফুল খাটাচ্ছে। ও বলছে, কথা বলছে। আমি দেখছি সবসময় ও থাকে ব্যাটসম্যানদের কাছাকাছি থাকে প্র্যাকটিসে, ইভেন খেলা চলাকালীন সময়ও কথা বলছে। তো আমার কাছে মনে হয় যে এটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ইনশাআল্লাহ।'