প্রথমবার অ্যাশেজে বাংলাদেশের আম্পায়ার সৈকত

বাংলাদেশ
প্রথমবার অ্যাশেজে বাংলাদেশের আম্পায়ার সৈকত
ফাইল ছবি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
সবশেষ ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আম্পায়ারিং করেছেন গত জুন-জুলাইয়ে হওয়া অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতেও। কয়েক মাসের ব্যবধানে অ্যাশেজেও অভিষেক হলো সৈকতের। বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে অ্যাশেজে আম্পায়ারিং করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

২০২৪ সালের মার্চে বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেন সৈকত। এরপর থেকেই নিয়মিত সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে নিজের দক্ষতা ও সামর্থ্যের প্রমাণ দিচ্ছেন তিনি। আইসিসির ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা হয়েছে আগেই।

সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেট নিজের জাত চেনাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও সুযোগ মেলে তাঁর। সেই সিরিজে দারুণ সব সিদ্ধান্তের জন্য সাইমন টফেল, রিকি পন্টিং, রবি শাস্ত্রী ও মাইকেল ভনের প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া পাকিস্তান-সাউথ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজেও কাজ করেছেন।

চলতি বছর নামকরণ হওয়া অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সৈকত। ইয়াশভি জয়সাওয়ালের একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হলেও সেটাতে নিজের দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি। হার্শা ভোগলের মতো ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার প্রশংসা করলেও সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি ছিল ইংলিশ। এতসব অভিজ্ঞতা নিয়ে এবার অ্যাশেজে সৈকত।

২১ নভেম্বর থেকে পার্থে শুরু হয়েছে অ্যাশেজ। যেখানে প্রথম টেস্টে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে আছেন আড্রিয়ান হোল্ডস্টোক এবং নিতিন মেনন। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের সৈকত। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য হোল্ডস্টোকের সঙ্গে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন তিনি। শেষ তিন টেস্টে অবশ্য রাখা হয়নি তাকে।

আরো পড়ুন: শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত