সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। ফলে এই ম্যাচের কোনো ফল আসেনি। বাকি চার ম্যাচে দুটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ফলে সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়েছে। আগের তিন ম্যাচেই ব্যাট হাসেনি আজিজুলের। ৩ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল মোটে ১৭ রান। শেষ ম্যাচে ১১৮ বলে ৩ ছক্কা ও ৭ চারে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১০০ রানের ইনিংস। যুব ওয়ানডেতে দ্বিতীয়বারের মতো সেঞ্চুরির দেখা পেলেন আজিজুল।
যদিও হাতের নাগালে লক্ষ্য পেয়েও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ৪১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ৪৪ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে টানেন আজিজুল ও রিজান হোসেন। রিজান ৩৪ বলে ২৭ করে ফিরে গেছেন। এরপর ফরিদ হাসান ফয়সালকে নিয়ে আরও ৫৪ রান যোগ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাকে একা রেখে একে একে যখন ব্যাটাররা ফিরে যাচ্ছিলেন অষ্টম উইকেটে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন শাহরিয়ার আল আমিন।
তারা যোগ করেন আরও ৪৬ রান। রিজান ২৭, ফয়সাল ২৩ ও শাহরিয়ার ১৭ রান করে। ফলে জয় পেতে আর বেগ পেতে হয়নি বাংলাদেশকে। টাইগারদের জয় সূচক বাউন্ডারি আসে স্বাধীন ইসলামের ব্যাট থেকে তিনি ১ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই শূন্য রানে ভাঙে আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
রান আউট হয়ে যান খালিদ আহমাদজাই। ইনিংসের শেষ দিকে সফরকারীদের আরও দুই ব্যাটসম্যান ফেরেন রান আউট হয়ে। মাঝে ৭ চারে ১০৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ওসমান সাদাত। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া ব্যাটার ফয়সাল খান ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। মিডল অর্ডারে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি কেউই।
যদিও উজাইরউল্লাহ নিয়াজি (৩২) ও মাহবুব খান (৪০) দারুণ খেলে আফগানিস্তানকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন। নিচের দিকের কোনো ব্যাটারই বিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন সামিউন বশির। একটি করে উইকেট নেন সাদ ইসলাম রাজিন, শাহরিয়ার আল আমিন ও শাহরিয়ার আহমেদ। আর তাতেই আফগানিস্তানকে ২০৮ রানে বেধে ফেলতে পারে বাংলাদেশ।