ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন জ্যোতি

বাংলাদেশ
ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন জ্যোতি
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
হতাশার বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী দল। এই বিশ্বকাপের আসরটি বাংলাদেশ ভুলে যেতেই চাইবে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানে থেকে আসর শেষ করেছে। যদিও পাকিস্তানকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। টুর্নামেন্টের বাকি অংশে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।

ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে। এর ফলেই মূলত সাত নম্বরে থাকার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। হতাশার সঙ্গে কিছু আক্ষেপও থাকছে বাংলাদেশ দলের। বেশ কয়েকটি ম্যাচে জেতার মতো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। বিশেষ করে ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা—তিনটি ম্যাচেই জেতার সম্ভাবনা তৈরি করে হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

অথচ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। সেই আশার ছিটেফোঁটাও পুরণ হয়নি। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশিলে তৈরি স্কোয়াড নিয়ে ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্টও। দেশে ফিরে ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধেই নিয়েছেন অধিনায়ক জ্যোতি। জানিয়েছেন তিনি প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি।

বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপাকালে জ্যোতি বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে যদি আমি বলি, আমার আমি একদম বলব যে আমি আমার ব্যাটিং করতে পারিনি। বলব যে আমার অফ ফর্মটা আসলে দলকে বেশি আমার কাছে মনে হয়েছে ভুগিয়েছে বেশি। টপ অর্ডাররা যখন ব্যাটিং করি, যখন একটা ভালো স্কোর থাকে, কারণ আমি অন্যরকমভাবে ব্যাটিং করতে পছন্দ করি। তো, সেই ক্ষেত্রে সেটা আমি আসলে দলকে দিতে পারিনি।'

নিজের পারফরম্যান্সকে দায়ী করলেও শারমিন আক্তার সুপ্তা, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ও সোবহানা মোস্তারি পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন জ্যোতি। তবে দল হিসেবে ধারাবাহিক না হতে পারলে এসব পারফরম্যান্স কাজে লাগানো যাবে না বলেও স্বীকার করেছেন জ্যোতি। বিশ্বকাপে অনেক বেশি প্রত্যাশা ছিল মারুফা আক্তারকে নিয়ে। এই পেসারের লাইন লেন্থ নিয়ে হতাশ হয়েছেন জ্যোতি।

তিনি বলেন, 'সুপ্তা আপু নিয়মিত রান করেছেন এবং আমি বলব সোবহানা খুব ভালো করেছে। দুই-একটা ম্যাচে ব্যক্তিগত কিছু কিছু ছোট ছোট ক্যামিও ছিল। স্বর্ণা খুব ভালো খেলেছে। ঝিলিক শুরুর দিকটা অনেক ভালো দিয়েছে। তো, এগুলো যদি আমরা আসলে দল হিসেবে যদি আমরা ধারাবাহিক হতে পারি, তখন দেখবেন যে তখন বড় ম্যাচগুলো আসলে জেতা সম্ভব হবে।'

মারুফা, আমি বলব যে ও নতুন বলে অনেক বেশি ধারাবাহিক ছিল। কিন্তু মাঝে দুই-একটা ম্যাচে ও হচ্ছে বলব কলাপস করেছে। কিন্তু তারপরেও ওর কাছ থেকে টিম আরও বেশি আশা করে যে তিন থেকে চার ওভার বল করার পরে পাওয়ার প্লে, তারপর হচ্ছে মিডল ওভারে ওকে দিয়ে বোলিং করানোটা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। ছন্দ পাচ্ছিল না। দেখা যাচ্ছে লাইন-লেন্থও ভালো ছিল না এবং আমরা এমন কঠিন মুহূর্তগুলোতে ছিলাম যে আমরা রানও লিক করতে পারতেছিলাম না। যার কারণে ওকে বারবার এনে চেষ্টাও করা যাচ্ছিল না।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ