এরপরও ম্যাচ শেষ করতে না পারায় আক্ষেপ করছেন তানজিম। তিনি নিজের কাঁধেই দায় নিয়েছেন। তিনি এবং নাসুম আরেকটু গভীরে ম্যাচ নিয়ে যেতে পারলে জয়ের পথ সহজ হতো বলে বিশ্বাস তানজিমের। শেষ চার ৪ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৪৭ রান। টি–টোয়েন্টিতে এই সমীকরণ মেলানো যেকোনো দলের পক্ষেই সম্ভব। তবে সেই আশা শেষ করে দিয়ে গেছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররাই।
বাংলাদেশ শুরুর দিকের চার উইকেট হারিয়েছিল স্রেফ ৪১ রানে। সেখান থেকে তাওহীদ হৃদয়, তানজিম ও নাসুম মিলে বাংলাদেশের ইনিংস টেনেছেন। তানজিমকে সাম্প্রতিক সময়ে অলরাউন্ডার হিসেবেই বিবেচনা করছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তানজিম নিজেই জানিয়েছেন সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনই তাকে ব্যাটিংয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি সাহস যোগান।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'ব্যাটিং সবসময় সালাউদ্দিন স্যার অনেক বেশি কনফিডেন্স রাখে আমার উপরে। উনি প্র্যাকটিসে অনেক বেশি ব্যাটিং করায় যেটা আমাকেও আত্মবিশ্বাস দেয়। আমি চেষ্টা করি এবং যারা টিম ম্যানেজমেন্টে যারাই আছে, একদম প্লেয়ার্স থেকে শুরু কোচেরা, সবাই আমাকে বিশ্বাস করেই ব্যাটিংয়ে পাঠায় যে তুমি রান করতে পারবা।'
তানজিমের ধারণা বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতেই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে গেছে। ব্যাটাররা সেট হওয়ার আগেই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। মিডল অর্ডার ব্যাটাররাও দায়িত্ব নিতে পারেননি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। তারা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত বলে দাবি তানজিমের।
তিনি বলেন, 'আমাদের ব্যাটসম্যানদের উইকেটগুলো গেছে পাওয়ার প্লেতেই। তারা যদি সেট হয়ে তারপর আউট হতো, তাহলে পরিস্থিতিটা ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই সেট হওয়ার আগেই আউট হয়ে গেছে। তবু আমি মনে করি, মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আরও একটু দায়িত্ব নিতে পারত। যারা শুরুতেই আউট হয়ে গেছে, তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলা আরেকটু গভীরে নিয়ে যেতে পারত, তাহলে ম্যাচটা হয়তো ভিন্ন হতো।'
ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে তানজিম আরও বলেন, 'তামিম যেরকম একটা শুরু পেয়েছিল, আসলে খুবই ভালো একটা শুরু। তার ব্যাটে প্রথমেই গিয়েই মিডল হয়ে যাচ্ছিল ব্যাটে। আর বাকি ব্যাটসম্যানদের আসলে অনেকেই সেট হওয়ার আগে আউট হয়ে গেছে। তো তাদের বিষয়ে আর বলার কিছু নাই। বাট মিডল অর্ডার নিয়ে অবশ্যই চিন্তার কারণ আছে। তারা যদি আরেকটু ডিপ করতো খেলাটা, ডিপ করার অপশন ছিল কারণ তখন ফিল্ড ওপেন হয়ে গেছিল। চাইলেই এক এক করে করে আমরা খেলাটা ডিপে নিয়ে যেতে পারতাম।'