ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে মিরপুরের উইকেটে দেখা যাচ্ছে পরিচিত দৃশ্যই! কালো মাটির উইকেটে স্পিনাররা পাচ্ছেন সহায়তা, টার্ন ও বাউন্স। এতে ব্যাটারদের সংগ্রামও চোখে পড়ছে। বৃহস্পতিবারের ম্যাচে বাংলাদেশ ২০৭ রানে থেমে গেলেও ৭৪ রানে জয় তুলে নেয়, যার পেছনে বড় অবদান স্পিন সহায়ক এই উইকেটের।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল মনে করেন, দলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠের এমন উইকেটই উপযুক্ত। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিস্থিতিতে আছি, ঘরের মাঠের সুবিধা নিতেই হবে। র্যাঙ্কিংয়ে আমরা ১০ নম্বরে আছি। যদি বিশ্বকাপ খেলতে হয় আমাদের ৯ নম্বরে যেতে হবে। এই তিনটা ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মিত মিরপুরে যার সঙ্গেই খেলি, আমরা ফেভারিট থাকি এই কন্ডিশন ও উইকেটের কারণে। আমরা যে ফ্ল্যাট, যথার্থ উইকেট আশা করি সেটা হয়তো এই সিরিজে হচ্ছে না। বিশ্বকাপ খেলতে বাকি দুটি ম্যাচও জিততে হবে। এ পরিস্থিতিতে উইকেট নিয়ে নেতিবাচক কথা না বলি। মেনে নিই।’
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অবশ্য বাংলাদেশ ৩-০ ব্যবধানে জিতে। এর আগে এশিয়া কাপেও আশানরুপ সাফল্য পায়নি দল।
আশরাফুল মনে করেন আত্মবিশ্বাস ফেরাতে এমন উইকেটই দরকার ছিল বাংলাদেশের। তার ভাষায়, ‘আমাদের দলের যে পরিস্থিতি, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে এই ধরনের উইকেট দরকার ছিল। ভারতে তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সবশেষ টেস্ট সিরিজে ওদের দুজন ব্যাটার সেঞ্চুরি করে এসেছে। যদি ফ্ল্যাট উইকেট দিতেন, অন্যরকম খেলা হতো।’
তিনি সংবাদমাধ্যমকে অনুরোধ করেন, যেন উইকেট নিয়ে নেতিবাচক বার্তা না দেওয়া হয়। ‘এটা নিয়ে নেগেটিভ নিউজ না, যেহেতু আমাদের বিশ্বকাপ খেলতে হবে। এই মুহূর্তে মানসিকভাবে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে।’
শেষে আশরাফুল মনে করিয়ে দেন, জয়ের ধারা তৈরি করাই এখন সবচেয়ে জরুরি। ‘জয় একটা অভ্যাস। জিততে জিততে যখন বড় আসরে যাব, যাওয়ার আগে অন্তত দেড়-দুই মাস ঠিকঠাক প্রস্তুতি ও ম্যাচ যদি খেলতে পারি; যে কন্ডিশনে বিশ্বকাপ, সেরকম কন্ডিশনে ভালো প্রস্তুতি যদি নিতে পারি, তখন একটা ভালো ফল আশা করতে পারি। এখন কাউকে দোষারোপ করব না।’