ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ পুরো সিরিজে পাঁচ উইকেট শিকার করে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের মধ্যে সবার ওপরে উঠে এসেছেন। আগের চেয়ে ৪ ধাপ উন্নতি করে তিনি বর্তমানে আছেন ২৪ নম্বরে।
এই সিরিজে তিন ম্যাচে ৫৬, ২৪ ও ৭ রান করা তাওহীদ হৃদয় সাত ধাপ এগিয়ে এখন আছেন ৪২ নম্বরে। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটারই তার ওপরে নেই। প্রথম ম্যাচে ৬০ রান করা মিরাজ পাঁচ ধাপ এগিয়ে ৬৫তম স্থানে অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে সদ্য সমাপ্ত সিরিজে পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় কয়েকজন খেলোয়াড় পিছিয়ে গেছেন। এক ম্যাচেও দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারা নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ ধাপ পিছিয়ে ৪৩তম স্থানে নেমে গেছেন। জাকের আলী অনিক (৭৫তম) ও তানজিদ হাসান (৯৩তম) যথাক্রমে ১৭ ও ৯ ধাপ পিছিয়েছেন।
আফগানিস্তানের রাশিদ খান বল হাতে সিরিজে দারুণ পারফর্ম করে আবারো ওয়ানডে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে ফিরেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ উইকেটসহ সিরিজে মোট নিয়েছেন ১১ উইকেট। এমন পারফরম্যান্সে পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন তিনি।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পেসার হিসেবে ৭ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়েও তিনি ২৩ নম্বরে অপরিবর্তিত আছেন। বোলারদের তালিকায় ১৯ ধাপ এগিয়ে তিনি উঠে এসেছেন ২১তম স্থানে।
ব্যাটারদের তালিকায় সবার ওপরে ভারতের শুভমান গিল। তবে এই সিরিজে সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন ইব্রাহিম জাদরান। সিরিজে সর্বোচ্চ ২১৩ রান করে আট ধাপ এগিয়ে এখন দ্বিতীয় স্থানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৩ রান করা রহমানউল্লাহ গুরবাজ দুই ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে।
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়েও কিছু পরিবর্তন এসেছে। ভারতের ইয়াশভি জয়সাওয়াল দিল্লি টেস্টে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলে দুই ধাপ এগিয়ে ব্যাটারদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সেঞ্চুরি করা শাই হোপ (৬৬তম) ও জন ক্যাম্পবেল (৬৮তম) যথাক্রমে ৩৪ ও ৬ ধাপ এগিয়েছেন।