এরপর থেকেই বাংলাদেশের অনেক সংবাদমাধ্যম বিশ্বকাপে খেলার জন্য বাংলাদেশের বাছাই পর্ব খেলতে হবে বলে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নজরে এসেছে এসব প্রতিবেদন। তারা এসব প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে।
বিসিবি এক বিবৃতিতে বলেছে, 'কিছু প্রতিবেদন দলের ম্যাচসংখ্যা ও র্যাংকিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভুল বা বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছে। বাস্তবে, বর্তমান আইসিসি ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী, বাংলাদেশ আগামী ১৪ অক্টোবর ২০২৫ থেকে নভেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত সময়কালে মোট ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে, দেশে ও বাইরে।'
তারা আরও লিখেছে, 'এই সময়কালটি বিশ্বকাপে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে আয়োজক সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে বাদে শীর্ষ আট দল আইসিসি ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বকাপে জায়গা পাবে।'
বাংলাদেশ দলের বাকি থাকা ম্যাচগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেছে বিসিবি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাকি থাকা এক ওয়ানডের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি, পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিনটি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ও ভারতের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচ ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বাকি থাকা ম্যাচগুলো-
আফগানিস্তান – ১ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে, চলমান সিরিজ)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ৩ ওয়ানডে (হোম)
পাকিস্তান – ৩ ওয়ানডে (হোম)
নিউজিল্যান্ড – ৩ ওয়ানডে (হোম)
অস্ট্রেলিয়া – ৩ ওয়ানডে (হোম)
জিম্বাবুয়ে – ৫ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
আয়ারল্যান্ড – ৩ ওয়ানডে (অ্যাওয়ে)
ভারত – ৩ ওয়ানডে (হোম)