ওপেনিং জুটিতে আফগানিস্তান তুলেছিল ৫২ রান। ২৩ রান করে আউট হয়েছিলেন ইব্রাহীম জাদরান। এরপর দ্রুতই তারা হারায় সেদিকউল্লাহ অতলকে। তৃতীয় উইকেটে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ ৭৮ রানের জুটি গড়েন। রহমত দারুণ খেলছিলেন। ৭০ বলে ৫০ রান করা এই ব্যাটার তানজিম সাকিবকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
ম্যাচ শেষে রহমতের আউট নিয়ে আক্ষেপ করেছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার আউট না হলে আরও সহজে জয় তুলে নিতে পারত আফগানিস্তান এমনটাই মনে করেন দলটির অধিনায়ক। তবে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের উইকেট ছুড়ে আসা পছন্দ হয়নি শহীদির।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ব্যাটিংয়েও আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। রহমানউল্লাহ গুরবাজ আর রহমত শাহ দুজনেই ভালো ইনিংস খেলেছে। তবে দিন শেষে আমি রহমতকে নিয়ে খুশি নই। গুরবাজের আউটটা ঠিক আছে, সেটা ভালো বল ছিল, কিন্তু রহমত নিজের উইকেটটা ছুড়ে দিয়ে এসেছে। এ পর্যায়ে যখন আমরা সেট হয়ে যাই এবং কন্ডিশন বুঝে ফেলি, তখন আমাদের উচিত ম্যাচটা শেষ করে আসা। রহমত ভালো খেলেছে, কিন্তু আমি ওর প্রতি কঠোর। কারণ, ও দলের সিনিয়র ক্রিকেটার। ওর আউট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই।’
৫০ রান করে আউট হয়েছেন গুরবাজও। এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ আফগানিস্তানকে পথ দেখান। ওমরজাই ৪০ ও শহীদি ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে আফগানিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেছেন। ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক জানিয়েছেন আপাতত তাদের নজর পরের ম্যাচে।
নিজের দলের পারফরম্যান্স নিয়ে শহীদি বলেন, ‘দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা ম্যাচ ছিল, আর আমি পরের ম্যাচগুলোর জন্য নিয়ে অপেক্ষা করছি। সত্যি বলতে, আমি অনেক পরিশ্রম করছি, বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের ফিটনেস নিয়ে। আজ আমার জন্য দিনটা ভালো ছিল, একটা দারুণ রানআউট করেছি, আর ক্যাচও ধরেছি।'
তিনি আরও যোগ করেন, 'নিজের মান আরও উন্নত করতে চাই যেন দলের সেরা ফিল্ডারদের একজন হতে পারি। আগেও ভালো ফিল্ডার ছিলাম (হাসি)। সামগ্রিকভাবে আমি পারফরম্যান্স নিয়ে খুব খুশি। বোলাররা দারুণ বল করেছে, বিশেষ করে মাঝখানের ওভারে। তারা ভালো লাইন ও লেংথে কিপটে বোলিং করেছে।’