শেষ ১০ ইনিংসে কেবল দুটি ইনিংসে ৩০ রানের গণ্ডি পার করতে পেরেছেন জাকের। এশিয়া কাপে খেলা ছয় ইনিংসে তার রান যথাক্রমে ০*, ৪১*, ১২*, ৯, ৪ এবং ৫। তারপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা তিন ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ৬, ৩২ এবং ১০।
এর মধ্যে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে কেবল দুটি ছক্কা মারেন জাকের। এর আগে তিনি সর্বশেষ ছক্কা মেরেছেন ৩ সেপ্টেম্বর সিলেটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অর্থাৎ পুরো এশিয়া কাপে তিনি ছক্কা হাঁকাতে পারেননি।
নামের পাশে হার্ড-হিটার তকমা থাকলেও নেদারল্যান্ডস সিরিজ থেকে আফগানিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ পর্যন্ত ৮৬ বল খেলে কোনো ছক্কাই পাননি তিনি। মূলত তার ব্যাটিংয়ের নিবেদন নিয়েও উঠছিল প্রশ্ন।
এ ছাড়া উইকেটের পেছনেও নিজের মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি জাকের। গতকাল আফগানদের সিরিজ হোয়াইটওয়াশের পর জাকের বলেন, ‘এগুলো (সমালোচনা) নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
দলের সবাইকে কৃতিত্ব দিয়ে জাকের আরও বলেছেন, ‘প্রথমে পরিষ্কার করি, আমি ম্যাচ জিতাইনি। সবার প্রচেষ্টায় খেলা জিতেছি। এখানে আমাকে কৃতিত্ব দেয়ার কিছু নেই। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আমি সুন্দরভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। লিটনদা (দাস) ছিল না, উনি না থাকায় আমি ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। কৃতিত্ব প্লেয়ারদের। তারা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে অনেক ভালো করেছে।’
টি-টোয়েন্টি সিরিজ চূড়ান্ত সফলতা নিয়ে শেষ করল বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামী ৮ অক্টোবর।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চোখ রেখেই মূলত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জাকের আরো বলেন, ‘খুব ভালো প্রস্তুতি। কোচিং স্টাফও সেভাবেই আগাচ্ছে। বিশ্বকাপের আগে ৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে। কীভাবে প্লেয়াররা রেডি হতে পারে সবাই এভাবে।’