এর আগে ক্যাটাগরি-২–এ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাউন্সিলর লুতফর রহমান বাদল ও কাঁঠালবাগান গ্রিনক্রিসেন্টের মেজর ইমরোজ এবং রাজশাহী বিভাগের পরিচালক প্রার্থী হাসিবুল আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। নির্বাচন দাঁড়িয়ে রেদুয়ান জানিয়েছেন বিসিবি নির্বাচন বিগত সরকারের রাতের ভোটকেও হার মানিয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, 'রাতের ভোট—তবু তো ওরা ব্যালট বাক্স ভরছে, সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু এরা তো সুকৌশলে এমন কাজ করছে, যা ব্যালট বাক্সকেও হার মানিয়ে ফেলছে। আর এই অবস্থায়, ক্রিকেটের স্বার্থে আমার শেষ কথা—এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। এসব যেন আর না থাকে, আমরা তা চাই না। সবাইকে নিয়ে এই নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। সেখানে যে-ই নির্বাচিত হবে, তাকেই স্যালুট জানাবো।'
রেদুয়ান সরে দাঁড়ানোর ফলে বিসিবি নির্বাচনে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদিন বুলবুলের বিরুদ্ধেও অভিযোগের তীর ছুড়েছেন রেদুয়ান। বিসিবি সভাপতি হওয়ার আগে ঢাকা বিভাগের ক্রিকেটের জন্য বুলবুলের কোনো অবদান ছিল না সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রেদুয়ান বলেন, 'আমিনুল ইসলাম বুলবুল সাহেব। উনার উচিত হয়নি এই ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা থেকে প্রার্থী হওয়া। উনি কোনোদিনই ঢাকা বিভাগের কোনো জেলারই কোনো সদস্য ছিলেন না। কোনো জেলারই কোনো ক্রিকেট নিয়ে উনি কাজ করেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি। আপনারা যদি দেখাইতে পারেন কোনো জেলার একটা ক্রিকেট নিয়ে উনি একদিন ঢাকা বিভাগে মতবিনিময় করেছেন অতীতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে, যা বলবেন তাই মেনে নিবো।'
সাধারণ ই-ব্যালটে ভোট দিতে পারেন বিদেশে অবস্থান করা ও নির্বাচনে স্বশরীরে উপস্থিত না হতে পারে প্রার্থীরা। তবে ঢাকায় অবস্থান করেও প্রায় সবাই ই-ব্যালটে ভোট দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন রেদুয়ান। সব মিলিয়ে তিনি ই-ব্যালটে ভোট দেয়ার ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন এদিন।
তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচন কমিশনের সাথে বহুবার দেখা করতে চেয়েছি। আমার সাথে দেখাও করে নাই। আমি দরখাস্ত দিতে চেয়েছিলাম, ই-ব্যালট এবং পোস্টাল ব্যালট শুধু তাদেরকেই দিবেন যারা দেশের বাইরে অথবা হাসপাতালে রোগী হিসেবে আছেন। যারা সুস্থ, যারা ঘুরেফিরে খাচ্ছেন, যারা কাউন্সিলর হয়েছেন, যারা হোটেলে বসে আমোদ-ফূর্তি করছেন, তারা কেন ই-ব্যালটে ভোট দিবেন?'