সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেও ভারত এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে একটানা হেরেই বাদ পড়েছে বাংলাদেশ দল। এই দুটি ম্যাচ না খেলার আফসোস যার কারণে গ্রাস করেছে লিটনকে। আফগানিস্তান সিরিজ খেলতে দল সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকলেও লিটন দেশে ফিরেছেন গতকাল।
বিমান বন্দরে লিটন বলেন, ‘অবশ্যই, (শেষ দুই ম্যাচে) থাকতে পারলে তো ভালো হতই। এশিয়া কাপে অবশ্যই ভারত-পাকিস্তান বিগ ম্যাচ। ছোট থেকেই দেখি এগুলা অনেক বড় নাম। বড় দলের সাথে এশিয়া কাপের মঞ্চে খেলতে পারিনি। খেলতে পারলে খুব ভালো লাগত।’
হারের কারণ হিসেবে লিটনের ব্যাখা, ‘সমস্যা কিছু না। নির্দিষ্ট দিনে যেকোনো দলই খারাপ ক্রিকেট খেলতে পারে। আমার মনে হয় ওভারল আমরা এশিয়া কাপের আগে এবং এশিয়ার কাপের প্রথম ৩-৪ ম্যাচ খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ভারতের সাথে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম। তাদের স্পিন কোয়ালিটি অনেক ভালো ছিল। আমরা ভালোভাবে কোপআপ করতে পারিনি। পাকিস্তানের সাথে যেরকম টার্গেট ছিল, বিশ্বাস ছিল চেইজ করব। ক্রিকেটে আসলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমরা ব্যাটার হিসেবে এখানে ব্যর্থ হয়েছি।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বর্তমানে নেতৃত্বে আছেন জাকের আলী অনিক। যদিও এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই তার। এশিয়া কাপে লিটন যে দুই ম্যাচে ছিলেন না সেই দুই ম্যাচেও নেতৃত্ব দেন জাকের।
তার নেতৃত্ব নিয়ে লিটন বলেন, ‘দল অনেক ভালো। আমি অনেক খুশি। প্রতিদিন পারফর্ম হবে না। ১-২ দিন খারাপ যাবে, আমাদের গিয়েছে। যত দ্রুত এগুলো ওভারকাম করা যায়। জাকের আলী অনেক দিন পরে এমন বড় দায়িত্ব। ভারত-পাকিস্তানের সাথে। একজন যখন রেগুলার অধিনায়কত্ব না করে তার জন্য কঠিন। তবে সে ভালো ফিডব্যাক দিয়েছে। এতদিন না করেও যেভাবে অধিনায়কত্ব করতে পেরেছে বাংলাদেশের জন্য। আশা করি সামনের সিরিজে আরও ভালো ফল করতে পারবে।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়ান সাইফ হাসান। ১২৮.০৫ স্ট্রাইক রেট এবং ৪৪.৫০ গড়ে চার ম্যাচে ১৭৮ রান করেন এই ওপেনার। দুটি হাফ সেঞ্চুরি আসে সাইফের ব্যাটে। তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন লিটন।
‘সাইফ খুবই ভালো ক্রিকেট খেলেছে৷ এমনকি এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বড় পাওয়া সাইফের পারফরম্যান্স। আমি আশা করবো সে যেন এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে।’
এদিকে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে বেশি পরিবর্তন আনার পক্ষে নন লিটন, ‘বড় মঞ্চে প্লেয়ারের সাথে অভিজ্ঞতাও দরকার। একজন প্লেয়ার যখন নিয়মিত বড় মঞ্চে খেলবে, তার জন্য ডেলিভার করাটা ইজি হবে। চেষ্টা থাকবে যারা খেলে তারা যেন সিনিয়র প্লেয়ার হয়। এমন না যে নিউকামার আসবে না। তবে যখন বড় মঞ্চে খেলছেন তখন পরিণত প্লেয়ার যেন দলে থাকে।’
এ ছাড়া সমর্থকদের বার্তা দিয়ে লিটন আরো বলেন, ‘আমরা জানি আমরা সবসময় মুখে হাসি ফোটাতে পারিনি। তবে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না। আমরা চেষ্টা করেছি, কষ্ট করেছি। আশা করছি সামনে এটা পূরণ করে দিতে পারব।’
আজ (২ অক্টোবর) মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মাঠে গড়াবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কাতে।