এর আগে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। মূলত সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানিতে এই আদেশ দেন আদালত।
এরপরই তামিমের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর গুঞ্জন ছিল। যা বুধবার সত্যি হয়েছে। এদিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ্য না করলেও এবারের বিসিবি নির্বাচনকে 'ফিক্সিং' বা পাতানো নির্বাচন আখ্যা দিয়ে তামিম বলেছেন, 'এই নির্বাচন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটা কালো দাগ হয়ে রইলো।'
তামিমের এমন বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালিন সরকার যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। তিনি যমুনা টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উল্টো তামিমপন্থীদের 'ফিক্সার' আখ্যা দিয়েছেন। দায়িত্বরত বিভিন্ন কর্মকর্তাদেরও তারা হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তার।
আসিফ মাহমুদ বলেছেন, 'ফিক্সিংটা তামিম ভাইরা করার চেষ্টা করেছেন, করে ব্যর্থ হয়েছেন। সভাপতি, সেক্রেটারি এদেরকে ওনাদের পক্ষ থেকে কল দিয়ে বলা হয়েছে যে তাকে কাউন্সিলর দিতে হবে, ডিসি-দেরকে ধমক দেয়া হয়েছে, অনেক কিছু করা হয়েছে। সেগুলো নাই বলি। ফিক্সিংটা করতে ওনারা, মানে ইলেকশনটা ফিক্স করতে ওনারা ব্যর্থ হয়েছেন।'
বিসিবি নির্বাচন নিয়ে ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলিকেও ফোন করা হয়েছে বলে দাবি আসিফ মাহমুদের। ভারতের এই ব্যাটার এরপর তা কোচ গৌতম গম্ভীরকেও এই ব্যাপারে বলেছেন বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। পুরো বিষয়টিকে লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'কেউ একজন ফোন করে বিরাট কোহলিকে অভিযোগ দিয়েছে এবং বিরাট কোহলি সেটা গৌতম গম্ভীর বা বাকিদের সাথে সেটা আবার শেয়ার করেছে। এমন কোথাও অভিযোগ দেয়া উচিত না যেটা আমার দেশের জন্য লজ্জাজনক।'