যদিও তা সঠিকভাবে মানা হয়নি বলে আগের ফরম বাতিল করে নতুন ফরম পূরণ করে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চিঠির কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন কয়েকজন মনোনীত কাউন্সিলর—রাজবাড়ির মঞ্জুরুল আলম, গোপালগঞ্জের জসিম উদ্দিন খসরু, লক্ষ্মীপুরের মঈনুদ্দিন চৌধুরী এবং টাঙ্গাইলের আলী ইমাম।
মহামান্য হাইকোর্ট ২২ সেপ্টেম্বর আদেশ দেন, চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে কেন এই চিঠি বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করা হয়। তবে সেই দিনই রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং পরে স্থগিতাদেশের মেয়াদ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের ওই আবেদনে শুনানির পর আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন।
ফলে বিসিবির নির্বাচন আয়োজনের পথে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না। উল্লেখ্য, বিসিবির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ অক্টোবর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জেলা বা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে একজন সাবেক খেলোয়াড় বা ক্রীড়া সংগঠককে কাউন্সিলর মনোনীত করার নিয়ম রয়েছে।
মনোনীত কাউন্সিলররাই নির্বাচনে ভোট দিয়ে থাকেন। অর্থাৎ, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশকে চেম্বার আদালত স্থগিত করায় এবং এর মেয়াদ ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানোয় বিসিবির নির্বাচনী কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলতে পারবে। সেই সঙ্গে নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।