শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের জয়ের শুরুটা হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়েছে। গ্রুপ পর্বের বাংলাদেশকে একেবারেই পাত্তা দেয়নি লঙ্কানরা। বাংলাদেশের ১৩৯ রান ৩২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় চারিথ আসালাঙ্কার দল। বাংলাদেশের সুপার ফোরে যাওয়া অনেকটা নির্ভর করেছে শ্রীলঙ্কার উপর। আফগানিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশকে সাথে নিয়েই সুপার ফোরে যায় তারা।
অথচ সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই জিততে পারেনি জয়াসুরিয়ার শিষ্যরা। দাসুন শানাকার ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের জন্য ওমন লক্ষ্য পেরিয়ে যাওয়া সহজ ছিল না। তবে টাইগারদের কাজটা সহজ করেছেন সাইফ হাসান ও তাওহীদ হৃদয়। তারা দুজনই খেলেছেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। যদিও শেষ ওভার পর্যন্ত গড়ায় ম্যাচ। তবে ৪ উইকেটের জয়ে সুপার ফোরের শুরুটা করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ম্যাচের মতো শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও পেরে উঠতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানকে চেপে ধরলেও শেষের দিকে প্রত্যাশিত বোলিং করতে না পারায় হেরে যায় তারা। এমনকি ব্যাটিংয়ে সেদিন প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি আসালাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস কিংবা পাথুম নিশাঙ্কারা। শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচের দাবি, দ্বিতীয় রাউন্ডে দুবাই ও আবুধাবির কন্ডিশন বুঝতে তারা দেরি করে ফেলেছিলেন।
ভারতের বিপক্ষে হারের পর জয়াসুরিয়া বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কন্ডিশন বুঝতে পারাই সব। আবুধাবিতে প্রথম রাউন্ডের উইকেটে পেস এবং বাউন্স ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে কিছু জিনিস পরিবর্তন হয়েছে। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা দেরি করে ফেলেছিলাম। ওইটারই মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের।’
‘সবচেয়ে হতাশার ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচটা— ওই পিচে ১৬৮ রান খুব ভালো স্কোর ছিল। কিন্তু ডিফেন্ড করার জন্য আমরা যথেষ্ট ভালো বোলিং করতে পারিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও আমরা দ্রুত কন্ডিশন বুঝতে পারিনি। এখানেও আমরা দেরি করেছিলাম।’
ভারতের পর এশিয়া কাপে সবচেয়ে সফল শ্রীলঙ্কা। ভারতের ৮ শিরোপা জয়ের বিপরীতে লঙ্কানরা ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছে ৬বার। ১৯৮৬, ১৯৯৭, ২০০৪, ২০০৮, ২০১৪ ও সবশেষ ২০২২ সালে এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এ ছাড়া ১৭ আসরের ১৩টিতে ফাইনালে উঠেছে তারা। অথচ চলতি আসরের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ জিতেও সুপার ফোরে ভালো করতে না পারায় ফাইনালে উঠতে পারেনি লঙ্কান। ফাইনালে উঠতে না পারায় হতাশ হলেও নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট জয়াসুরিয়া।
শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা বাদ দিলে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট (এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সে)। যদিও ফাইনালে উঠতে না পারায় হতাশ। আমাদের কোয়ালিটি ব্যাটিং ও বোলিং আছে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনায় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আমরা যদি সেটা করতে পারি তাহলে আমাদের দলটা অনেক দূর যেতে পারে।’