ম্যাচে ব্যাটিংয়ে খাবি খায় পাকিস্তানের ব্যাটাররাও। পাকিস্তানের সাবেক উইকেটরক্ষক কামরানের মতে, ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হতে হবে দেখেই নাকি ঘাবড়ে গেছেন দুই দলের ব্যাটাররা।
নিজের ইউটিউভ চ্যানেলে কামরান বলেন, 'আপনাদের ভাবা উচিত ছিল এখানে স্ট্রাইক রোটেট করতে হবে, জোর করে ঝুঁকি নেয়া যাবে না, বড় হিট মারতে যাওয়া যাবে না। আমার মনে হচ্ছিল যেন ফাইনাল খেলার মনই ছিল না কারো। ভারতীয় দলের বিপক্ষে ফাইনাল খেলতে হবে তাই বলে এতো চাপ!'
'দুই দলের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করছিল, মনে হচ্ছিল দুই দলই ঘাবড়ে গেছে। সাইফ তাদের প্রধান খেলোয়াড় ছিল, ১৮ রানে পয়েন্টে আউট হলো। এরপর কোনো পার্টনারশিপই হয়নি। শামীম ৩০ রান করেছে, সে-ও রিভার্স সুইপ মারতে গিয়েছিল, তাও আবার ফাস্ট বোলারকে। এমনই অবস্থা, ওদের ব্যাটিং করার মনই ছিল না।'
কামরানের সুরে সুর মিলিয়েছেন আরেক সাবেক ব্যাটার বাসিত। নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে বাংলাদেশের প্লেয়ারদের শট সিলেকশন নিয়ে সমালোচনা করেছেন তিনি।
বাসিত বলেন, 'খারাপ ক্রিকেট খেলল বাংলাদেশের ব্যাটাররা। জানে যে লিটন দাস খেলছে না, শট মারতে যাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে-তে চাইছিল ৫০ রান করতে। ছক্কা মারতে চাইছিল। বাজে শট সিলেকশন। দুই দলের তরফেই ব্যাটিং খুব খারাপ হয়েছে।'
যদিও ব্যাটারদের সমালোচনায় ভাসালেও, বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের প্রশংসা করতে ভুল করেননি তিনি। একইসাথে ম্যাচে বেশ কয়েকটি ক্যাচ ছেড়ে দেয়া টাইগার ফিল্ডারদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
বাসিত বলেন, 'টপ ক্লাস বোলিং করল তাসকিন। তিনটি আউট করল। রিশাদ খুব ভালো বোলিং করেছে। ও খুব ভালো উইকেট নিয়েছে। ফখর জামানকে যেভাবে আউট করল সেটা দারুণ। ১৩৫ রান বানাতে যতটা ক্রেডিট হারিসের, নওয়াজের, ফাহিম আশরাফের, শাহিন শাহ আফ্রিদির, তার থেকেও বেশি ক্রেডিট যায় বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের।'