তবে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলেও, বাংলাদেশের বোলাররা দেখিয়েছেন দারুণ নৈপূণ্য। বিশেষ করে টাইগার পেস বোলিং জুটি তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বল হাতে অপ্রতিরোধ্য। রান চেক দেয়ার পাশাপাশি নিয়মিত বিরতিতে আদায় করেছেন উইকেটও। আর এতেই মুগ্ধ পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াসিম আকরাম। তাসকিন ফিজের পাশাপাশি করেছেন স্পিনার রিশাদ হোসেনের প্রশংসাও।
আকরাম বলেন, 'গত ২-৩ বছর ধরে তাসকিন আমাকে মুগ্ধ করে আসছে। সে যেভাবে বোলিং করে, দৌড়ায় এবং উইকেট নেয়..। সে তোমাদের প্রিমিয়ার বোলার। মুস্তাফিজুরও আছে। কিন্তু অবশ্যই রিশাদের কথা বলব। এ বছর আমি তাকে পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে দেখেছি। সে ভালো খেলেছে এবং খুবই ভালো বোলিং করেছে। সে খুবই প্রতিভাবান ক্রিকেটার এবং দুর্দান্ত ফিল্ডার। তার জন্য দারুণ একটা ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।'
বোলিং এ বাংলাদেশের নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করলেও, ব্যাট হাতে ব্যাটাররা ছিলেন চরম ব্যর্থ। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচটাই হতে পারে এমন বক্তব্য দেয়ার পেছনের যুক্তি। কিংবা তার আগে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ। এমন সময়ে এসে এমনভাবে ব্যাট চালানোটাকে ভালোভাবে দেখছেন না ওয়াসিম আকরাম। বলেছেন, পরিকল্পনা হওয়া উচিৎ ছিলো ভিন্ন।
'আমার মনে হয় বাংলাদেশ দারুণ বোলিং করেছে। পাকিস্তানকে তারা মাত্র ১৩৫রানে আটকে দিয়েছে। আমার মনে হয় তারা যখন ব্যাটিংয়ে নামে তখন তাদের পরিকল্পনা হওয়া উচিত ছিল নতুন বলটা দেখে খেলা এবং ৬ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলা। আপনি যখন প্রথম ৪ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলবেন, বিশেষ করে পাকিস্তানের এমন বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে...বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলিং অ্যাটাক। শাহীন খুব ভালো বল করেছে।'
তবে ব্যটারদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার পথও বাতলে দিয়েছেন সাবেক এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বললেন, দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে নজর দিতে। সেখান থেকেই নাকি পাওয়া যাবে ব্যাটিং সমস্যার সমাধান।
'আমি বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সেভাবে অনুসরণ করি না। অনেকদিন ধরেই আমি সেখানে নেই। কিন্তু আপনাকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নজর দিতে হবে। লাল বলের ক্রিকেট— সেখান থেকেই আপনি প্রপার ব্যাটার পারবেন। আমার মনে হয় এটাই সমাধান। অনেকদিন ধরেই আমি এটা বলে আসছি। কারণ আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুসরণ করি। সুতরাং, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নজর দাও।'