টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আফগানিস্তাকে বলা হচ্ছিলো এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা দল। আফগানদের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে শ্রীলঙ্কা জানান দিয়েছিলো, তারাই আসলে দ্বিতীয় সেরা দল। এবার বাংলাদেশ চার উইকেটে হারালো সেই শ্রীলঙ্কাকেই।
আর এতেই বাংলাদেশ নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। সুপার ফোর নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে তারা। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরাজয় বরণের পরও বাংলাদেশ যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটির বিপক্ষে, তা বেশ অবাক করেছে আকমলকে।
আকমল বলেন, 'চমৎকার জয়, চমৎকার চেজ, কী দুর্দান্ত গেম অ্যাওয়ারনেস, কী দুর্দান্ত অ্যাপ্রোচ, আপনারা দেখুন যে চেজ করার অ্যাপ্রোচটা, একদমই চাপে পড়েনি। বাংলাদেশের দলের এভাবেই জেতা উচিত ছিল। এখন আপনারা জানেন যে পাকিস্তান-ইন্ডিয়ার ম্যাচ, বড় ম্যাচ। পাকিস্তান দল কি শেষ হার থেকে কিছু শিখেছে?'
'কিছু ভেবেছে যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়েছে তা নিয়ে? ভালো ক্রিকেট খেলেছে, কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে নয়, গেম অ্যাওয়ারনেস দিয়ে তারা ম্যাচ জিতেছে, ভালো পরিকল্পনা করে ম্যাচ জিতেছে।'
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এমন জয়ের পেছনে ব্যাট হাতে দূর্দান্ত অবদান রাখেন ওপেনার সাইফ হাসান। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস। হাঁকিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন সব চার ছক্কার মার। আর এতেই, এই ব্যাটারের প্রশংসা হচ্ছে পুরো এশিয়া জুড়ে।
উপমহাদেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা করছেন গুনগান। ব্যতিক্রম নন কামরান আকমলও। সাইফকে প্রশংসায় ভাসানোর পাশাপাশি বললেন, বাংলাদেশ দলের জন্য এমন জয় একটি চমৎকার অর্জন। অভিনন্দন জানিয়েছেন পুরো দলকেই।
কামরান আরো বলেন, 'অসাধারণ গেম প্ল্যান ছিল বাংলাদেশের, ওরা দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে এবং অসাধারণভাবে চেজ করেছে। এই বিখ্যাত জয়টা বাংলাদেশের দলের জন্য মনে রাখার মতো হবে। এই টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা দলের বিরুদ্ধে রান তাড়া করা, ১৬৯ রান, কোনও সহজ কাজ নয়, খুবই মুশকিল। বাংলাদেশের দলের জন্য এটা একটা চমৎকার অর্জন, অভিনন্দন পুরো দলকে, ক্যাপ্টেন, ম্যানেজমেন্টকে।'
'আমার তো মনে হচ্ছিল যে আট-নয় বল আগেই ম্যাচ শেষ করে দেবে যেভাবে ব্যাটিং হচ্ছিল। সাইফ, অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, ৬১ রান করেছে। দুর্দান্ত ব্যাটিং, খুব আক্রমণাত্মক এবং খুব ইতিবাচক। তাও মাত্র ৪৫ বলে।'