বাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ভালো শুরু পায় টাইগাররা। সাইফ ফিরলেও দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তানজিদ।
প্রথম ১০ ওভারে ৮৭ রান করার পরও পরবর্তীতে প্রত্যাশিত রান তুলতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক ও শামীম হোসেন পাটোয়ারিরা। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানরা। দুর্দান্ত বোলিং সেদিকউল্লাহ অটল ও ইব্রাহিম জাদরানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন নাসুম আহমেদ।
লেগ স্পিনে বাজিমাত করেছেন রিশাদ হোসেনও। দুই স্পিনারের সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমানের ৩ উইকেটে আফগানিস্তানকে ১৪৬ রানে আটকে দিয়ে ৮ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
এমন জয় ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে দৌড়ে টিকে থাকলেন লিটনরা। বড় ব্যবধানে জিততে না পারায় কাজটা এখনো সহজ নয় বাংলাদেশের জন্য। ভাগ্য পক্ষে থাকলেই কেবল সুপার ফোরে যেতে পারে বাংলাদেশ। কারণ শ্রীলঙ্কার সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে টাইগাররা।
৪ পয়েন্ট ও +১.৫৪৬ নেট রান রেট নিয়ে সবার উপরে শ্রীলঙ্কা। দুইয়ে আছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৪ পয়েন্ট তাদের। যেখানে বাংলাদেশের নেট রান রেট –০.২৭০। যেখানে তিন থাকা আফগানরা এগিয়ে আছে নেট রান রেটে।
২ পয়েন্ট হলেও তাদের রান রেট +২.১৫০। এমন অবস্থায় শেষ ম্যাচে যদি শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয় তাহলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে উঠবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যদি আফগানরা জিতে যায় তখন তাকিয়ে থাকতে হবে নেট রান রেটের দিকে। রান রেটে এগিয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে সুপার ফোরে যাবে আফগানিস্তান। ব্যবধান বড় না হলে তাদের সঙ্গে উঠে যাবে শ্রীলঙ্কাও।
আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করে এবং ৭১ কিংবা তাঁর চেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে তাহলে আফগানদের সঙ্গে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশও। যদি আফগানরা পরে ব্যাটিং করে তাহলে অন্তত ৫৩ বল বাকি থাকতেই তাদের জিততে হবে। তাহলেই কেবল শ্রীলঙ্কার নেট রান রেট বাংলাদেশের পেছনে চলে যাবে এবং লিটনরা তখন সুপার ফোরে জায়গা করে নেবে।