নাসুমই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন, দাবি তানজিদের

এশিয়া কাপ
নাসুমকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি
নাসুমকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছ্বাস, ক্রিকফ্রেঞ্জি
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২২ রান দরকার ছিল আফগানিস্তানের। হাতে মাত্র ১ উইকেট। সেখান থেকেই ঝড়ো ব্যাটিং করে ১৩ রান তুলে নেন নূর আহমেদ। শেষ বলে আফগান এই ব্যাটারকে নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তাসকিন। আর তাতেই ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের দেয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আফগানিস্তানের ইনিংস থেমেছে ১৪৬ রানে। এর ফলে এশিয়া কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার আশাও টিকিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশের দেড়শর মতো রান আফগানিস্তানের নাগালের বাইরে ছিল না। এই রানই আফগানিস্তানের জন্য কঠিন করে দেয়ার কাজরা করেছিলেন নাসুম আহমেদ।

আগের দুই ম্যাচেই সাইড বেঞ্চে বসে কাটাতে হয়েছে এই স্পিনারের। প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে প্রথম বলেই নিয়েছেন উইকেট। আর ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ম্যাচের নায়ক তিনিই। ম্যাচ শেষে তানজিদ হাসান তামিমও নাসুমকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'দেখেন, নাসুম ভাই এর আগেও যখন নেদারল্যান্ডস সিরিজ ছিল, উনি কিন্তু এসেই ম্যান অফ দা ম্যাচ হয়েছে। তো এইটা অনেক একটা দারুণ একটা মানে ইতিবাচক জিনিস বলব যে উনি যখনই একাদশে আসেন তখনই নিজের সেরাটা দিয়ে বল করার চেষ্টা করে।'

শেষদিকে আফগানিস্তান দারুণ ব্যাটিং করেছে। বিশেষ করে রশিদ খান বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ প্রায় বের করেই নিয়েছিলেন। আফগান অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১১ বলে ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস। যাতে ছিল দুটি চার ও একটি ছক্কা। তানজিদ মনে করেন শেষদিকে বোলাররা এতো খরুচে না হলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতো।

তিনি বলেন, 'আজকে প্রথম ওভার যেভাবে করছে, প্রথম এক-দুই ওভারে কিন্তু মানে খেলাটা অনেক দিকে আমাদের দিকে আসছে। তো আজকে তার স্পেলটার জন্যই আজকে হয়তোবা এরকম ব্যবধানে আমরা জিতছি। হয়তোবা আরেকটু ভালো ব্যবধানে জিততে পারতাম শেষে যদি দুই-একটা বাউন্ডারি না আসতো। সেটা আমাদের জন্য অনেক ভালো হইতো। আর আরেকটা কি প্রশ্ন, ভাইয়া?