‘হংকংয়ের মতো দলের সাথে আপনি ভয় নিয়ে খেলতে পারেন না’

বাংলাদেশ
‘হংকংয়ের মতো দলের সাথে আপনি ভয় নিয়ে খেলতে পারেন না’
ক্রিকফ্রেঞ্জি
Author photo
ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
· ১ মিনিট পড়া
হংকং চায়নার বিপক্ষে দ্রুত ম্যাচ শেষ করে রান রেট বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। যদিও সেটা লুফে নিতে পারেননি লিটন দাসরা। ১৪৩ রান তাড়া জিততে টাইগারদের খেলতে হয়েছে ১৭.৪ ওভার। ম্যাচ শেষে তাওহীদ হৃদয় জানালেন, চেষ্টা করলেও পরিস্থিতির কারণে রান রেট বাড়িয়ে নিতে পারেননি তারা। তবে ওয়াসিম জাফর মনে করেন, আরও দুই ওভার আগে খেলা শেষ করার সুযোগ থাকলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে এও মনে করিয়ে দিলেন, হংকংয়ের মতো দলের সঙ্গে ভয় নিয়ে খেলা যাবে না।

এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে গ্রুপ অব ডেথে পড়েছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই সুপার ফোরে যেতে রান রেট বড় ভূমিকা রাখবে। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তান জয় পেয়েছে ৯৪ রানে, তাদের নেট রান রেট +৪.৭০০। একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে ৭ উইকেটে জেতার পরও বাংলাদেশের নেট রান রেট +১.০০১। অর্থাৎ বেশ খানিকটা পিছিয়েই পড়েছেন লিটনরা। অথচ হংকংয়ের মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে আরও ভালোভাবে জেতার কথা ছিল বাংলাদেশের।

আফগানদের সঙ্গে একশ করতে না পারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪৩ রানের পুঁজি পায় হংকং। লক্ষ্য তাড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমকে দ্রুতই হারিয়ে বসে টাইগাররা। মাঝের দিকে লিটন ও হৃদয় মিলে সুবিধা করতে পারেননি। যদিও লিটন পরবর্তীতে ৩৯ বলে ৫৯ রানেরে ইনিংস খেলে জয়ের নায়ক বনে গেছেন। তবে হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৩৫ রান করে। ওয়াসিম জাফর মনে করেন, ১৫ কিংবা ১৬ ওভারের মধ্যে খেলা শেষ করার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাচ পরবর্তী আলোচনায় ভারতের সাবেক ব্যাটার বলেন, ‘আমার মনে হয় ১৫ কিংবা ১৬তম ওভারে খেলা শেষ করার মতো সুযোগ বাংলাদেশের কাছে ছিল। তারা সেটা চেষ্টা করতে পারতো। লিটন এবং তাওহীদের মধ্যে লম্বা একটা জুটি হয়েছে। দেখুন, তাওহীদ হয়ত সমান কিংবা কাছাকাছি পরিমাণ বল খেলে ৩৫ রান করেছে। তাদের কাছে দুই ওভার আগেই শেষ করার মতো সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা সেই সুযোগটা মিস করেছে। তারা হয়ত এটা ভেবে খুশি হতে পারে তাদের কাজটা করেছে।’

প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের পরিকল্পনা ভালোভাবেই বাস্তবায়ন করেছে হংকং। ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার পর টাইগার ব্যাটারদের বিপাকে ফেলেছেন তারা। একের পর এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে বড় শট খেলা কঠিন করে তুলেছিলেন লিটন ও হৃদয়দের জন্য। ওয়াসিম জাফর মনে করেন, বড় দলগুলোর নিয়মিত ১১৫ কিংবা ১২০ কি.মি গতির বল খেলার অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে ব্যাটিংটা একটু কঠিন হয়েছে। যদিও তিনি মনে করেন, বাংলাদেশও সেইফ খেলার চেষ্টা করেছে।

ওয়াসিম জাফর বলেন, ‘আমি জানি উইকেট এতটা কঠিন ছিল কিনা। তবে বোলাররা খুব বেশি গতিতে বোলিং করছিল না। সাধারণত বড় দলগুলো এই ধরনের বল খেলে না। এখানে আপনি ১২০ কিংবা ১১৫ কি.মি গতির বল খেলছেন। অনেক সময় এরকম বল খেলা কঠিন। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে পাওয়ার প্লেতে তারা দুইটা উইকেট হারায়। তারা হয়ত জয় এবং জোর করে রান রেট বাড়াতে গিয়ে যাতে হিতে বিপরীত না হয়ে যায় এটা নিশ্চিত করতে চেয়েছে। দেখে মনে হয়েছে খানিকটা সেইফ খেলার চেষ্টা করেছে।’

শক্তি-সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে প্রায়শই ভুগতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেয়ার পরিবর্তে শুধু একটা জয় তুলে নেয়াতে বেশি মনোযোগ থাকে ফিল সিমন্সের শিষ্যদের। সাম্প্রতিক সময়ে ফিয়ারলেস ক্রিকেট নিয়ে ব্যাপক আলাপ হলেও ছোট দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলায় সেটা চোখে পড়ে না। ওয়াসিম জাফর জানান, এমন দলের সঙ্গে আপনি মনের ভেতর ভয় নিতে খেলতে পারবেন না। যদিও কেউ যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে চাইবে না, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ভারতের সাবেক ব্যাটার বলেন, ‘আমরা ফিয়ারলেস খেলা নিয়ে কথা বলছিলাম। এমন দলের (হংকং) সাথে আপনি ভয় নিয়ে খেলতেই পারেন না। আবার আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, টুর্নামেন্টের শুরুতে আপনি সহযোগী দেশের সঙ্গে আপনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে চাইবেন না। এজন্যই হয়ত রান রেটের কথা চিন্তা না করে জয়টা নিশ্চিত করেছে।’

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ