নেদারল্যান্ডসকে ১৩৬ রানে আঁটকে রাখতে তাসকিনই রেখেছেন বড় ভূমিকা। এমন বোলিংয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও উঠেছে তাসকিনের হাতে। সংবাদ সম্মেলনে এসে এই পেসার জানিয়েছেন ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন তিনি। বল হাতে পারফর্ম করেও দারুণ আনন্দিত তিনি।
তাসকিন বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়ে জিততে পেরেছি। কন্ডিশনটা ছিল বেশ ভালো, উইকেট ছিল ব্যাটিং-ফ্রেন্ডলি। তবে ডিউ ফ্যাক্টরের কারণে বোলারদের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা সবাই মিলে প্রতিপক্ষকে তুলনামূলকভাবে কম স্কোরে থামাতে পেরেছি। উইকেটটা ছিল স্পোর্টিং, আর আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা ব্যাটিং ট্র্যাক। একটু চ্যালেঞ্জিং হলেও পুরোটা আমি উপভোগ করেছি।'
তাসকিনের সংবাদ সম্মেলনে বাববার এসেছে উপভোগ শব্দটি। পেসাররা বরাবরই ইনজুরি প্রবণ। এ কারণে বর্তমান সময়ে অনেক পেসারদেরকেই ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করে খেলানো হয়। তাসকিন-মুস্তাফিজদের ক্ষেত্রেও বরাবরই সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট। তবে তাসকিন আশাবাদী যেভাবে ছন্দ ফিরে পাচ্ছেন তিনি ভবিষ্যতে এই বিরতি নাও প্রয়োজন হতে পারে।
তিনি বলেন, 'আমাদের ফিজিও এবং ট্রেনাররা সবসময় বোলারদের লোড মনিটর করছেন—ওয়ার্কলোড বেশি হচ্ছে নাকি কম, সেটি খেয়াল রাখছেন। আলহামদুলিল্লাহ, যদি ফিট থাকি এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে হয়তো আর এই রোটেশন প্রয়োজন নাও হতে পারে। তবে যেহেতু সামনে এশিয়া কাপ রয়েছে, দল চাইলে হতেও পারে। যেটাই হোক না কেন, আমি আমার বর্তমানকে বেশি উপভোগ করতে চাই। এই মুহূর্তে যা আসে—ট্রেনিং থাকলে ট্রেনিং, ম্যাচ থাকলে ম্যাচ।'
তাসকিন যোগ করেন, 'ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে শুরু করেছি। তবে রিদমে ফিরতে শুরুতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছিল। এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে অনেক পরিশ্রম করেছি—ট্রেনিংসহ সবকিছু মিলিয়ে রিদমটা ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। আমার মনে হয় এখনও অনেকটা পথ বাকি আছে, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ যদি সুস্থ রাখেন তবে আরও ভালো হবে। সেই নিয়েই কাজ করছি। উইকেট পাওয়ার বিষয়টা আসলে রিদমের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই প্রক্রিয়াটাই ফলো করে যাচ্ছি যাতে সামনে আরও ভালো করতে পারি, ইনশাআল্লাহ।'