জাতীয় দলে জাকেরের ব্যাকআপ সোহান

ছবি: জাকের আলী অনিক (বামে) ও নুরুল হাসান সোহান (ডানে)

জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির গত আসরে খুলনা বিভাগের হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সোহান। মারকুটে ব্যাটিংয়ে রান পেয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল)। চলতি বছরের মার্চে হওয়া টুর্নামেন্টে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ৫১২ রান করেছিলেন সোহান। ডিপিএলের আগের মৌসুমেও ৪৯৫ রান করেছিলেন।
বাংলাদেশের এশিয়া কাপের স্কোয়াডে সোহান-সাইফ, নেই মিরাজ-নাইম
২২ আগস্ট ২৫
এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন দুইটি। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিলেন। চলমান টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছিলেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এমন পারফরম্যান্সেও জাতীয় দলে সুযোগ পাচ্ছিলেন না তিনি। বিসিবির নির্বাচক জানান, সোহানকে প্রস্তুত করতেই তাকে জাতীয় দলে না এনে ডারউইনে ও গ্লোবাল সুপার লিগে খেলতে দিয়েছিলেন তারা।

এ প্রসঙ্গে গাজী আশরাফ বলেন, ‘আসলে প্রত্যেকটা নির্বাচনের ক্ষেত্রেই কিন্তু একটা প্রক্রিয়া থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের তরফ থেকে গভীর চিন্তা থাকে। কোনো সময় হয় দলে নিই না বৃহত্তর স্বার্থে। সোহানকে নিয়ে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছিল শ্রীলঙ্কা সফরের সময়। আমরা তখন ভেবেছি এবং মনে করেছি আমাদের দলের যে ফরমেশন যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে প্রথম একাদশে তাঁর খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। ওই সময় আমাদের কাছে যেটা মনে হয়েছে সে যদি প্রস্তুতির জন্য গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে...কারণ আমরা জানতাম ‘এ’ দলের হয়ে ডারউইনে খেলতে যাবে...তারও একটা প্রস্তুতি হয়ে যায়।’
নারী বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল ঘোষণা
২ ঘন্টা আগে
‘সবমিলিয়ে প্রায় ১০ ম্যাচ খেলার সুযোগ তার হয়ে যায়। এশিয়া কাপের মতো দলে আসার আগে কিছু বড় চ্যালেঞ্জ...। এজন্যই আমরা বলেছিলাম সে আমাদের নজরে আছেন। তাকে হয়ত আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক্সপোজারটা দিতে পারিনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পরের যে ধাপটা সেখানে তার সঙ্গে আরও অনেকে সুযোগ পেয়েছে। একটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতার আমেজ, চ্যালেঞ্জ, কিভাবে ভালো পারফর্ম করতে হবে, কেউ ভালো না করতে পারলে কি করলে পারফরম্যান্সটা আকাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে সেটার একটা স্ট্র্যাটেজি ছিল। এটা একটা স্ট্র্যাটেজিক সিদ্ধান্ত ছিল।’
সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে চোটে পড়েছিলেন জাকের। যার ফলে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। যদিও শেষ দুই টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হয় তাকে। ওই সময় বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়েই মেহেদী হাসান মিরাজ ও শেখ মেহেদী একটু উপরে ব্যাটিং করায় বাংলাদেশ। তবে পাঁচ ও ছয়ে জাকেরের বিকল্প ভাবনায় সোহানকে দলে রেখেছেন নির্বাচকরা। গাজী আশরাফ মনে করেন, এই পজিশনে সোহানই বর্তমানে সেরা চয়েজ।
গাজী আশরাফ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের লাইক টু লাইক রিপ্লেসমেন্টের জায়গায় অনেক বেশি চ্যালেঞ্জ কিংবা পারফর্মার কিন্তু নেই। আমাদের আত্মবিশ্বাস এবং আস্থার যে জায়গাটা... তাঁর অ্যাপ্রোচ অব ক্রিকেট, প্যাটার্ন অব ক্রিকেট—বিশেষ করে পাঁচ কিংবা ছয়ের জায়গায় আমরা মনে করি সে আমাদের ভালো চয়েজ। জাকের আলী একটা আঘাত পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা সিরিজে...সেই ব্যাকআপের ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে আমরা সেরা মনে করছি।’