বাংলাদেশের এশিয়া কাপের স্কোয়াডে সোহান-সাইফ, নেই মিরাজ-নাইম

ছবি: ফাইল ছবি

চলতি মাসের শেষের দিকে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজ শেষে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের সেই টুর্নামেন্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়েছে সোহান, সাইফ হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে।
মেলবোর্নের কাছেও হারলেন সোহান-নাইমরা
২১ আগস্ট ২৫
জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির গত আসরে খুলনা বিভাগের হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছিলেন সোহান। মারকুটে ব্যাটিংয়ে রান পেয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও (ডিপিএল)। চলতি বছরের মার্চে হওয়া টুর্নামেন্টে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ১১ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ৫১২ রান করেছিলেন সোহান। ডিপিএলের আগের মৌসুমেও ৪৯৫ রান করেছিলেন।
এ ছাড়া নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছিলেন দুইটি। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেও পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলেছিলেন। চলমান টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যাট হাতে রানের দেখা পেয়েছেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জেরেই ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন সোহান। অর্থাৎ প্রায় বছর তিনেক পর ফেরা হলো তাঁর।

সোহানের মতো ঘরোয়াতে নিয়মিত পারফর্ম করছেন সাইফও। বিপিএলের সবশেষ আসরে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১১৯.০৭ স্ট্রাইক রেটে ১৩ ম্যাচে ৩০৬ রান করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ডিপিএলে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জার্সিতে ১৫ ম্যাচে করেছিলেন ৫৪৫ রান। এ ছাড়া গ্লোবাল সুপার লিগ, প্রস্তুতি ম্যাচেও পারফর্ম করেছেন তিনি। সবশেষ পাকিস্তান সিরিজ থেকে বাদ পড়েছেন নাইম।
২০ ক্রিকেটার নিয়ে এশিয়া কাপে যাচ্ছে হংকং
১৩ ঘন্টা আগে
ঘরোয়া ক্রিকেট পারফর্ম করে জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও ব্যর্থ ছিলেন তিনি। চলমান টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। নেদারল্যান্ডস সিরিজ থেকে ছুটি নেয়া মেহেদী হাসান মিরাজও নেই এশিয়া কাপের স্কোয়াডে। তবে স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার হিসেবে রাখা হয়েছে তাকে।
মিরাজের পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে আছেন সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। স্পিনার হিসেবে এশিয়া কাপে যাচ্ছেন রিশাদ, শেখ মেহেদী ও নাসুম আহমেদ। দলের প্রয়োজনে বোলিং করতে পারেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও সাইফ। পেস বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
৩০ আগষ্ট নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচ ১ ও ৩ সেপ্টেম্বর। সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ডাচদের বিপক্ষে খেলে এশিয়া কাপের জন্য উড়াল দেবেন লিটন দাসরা। যেখানে ১১ সেপ্টেম্বর হংকং, ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে যেতে পারলে সুপার ফোরেও তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের স্কোয়াড— লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
স্ট্যান্ডবাই (শুধুমাত্র এশিয়া কাপ)— সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ