বিসিবির সবশেষ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মাহবুব আনাম। সরকার পরিবর্তনের পর বেশিরভাগ পরিচালকই গা ঢাকা দিয়েছেন। খালেদ মাহমুদ সুজন, জালাল ইউনুসরা পদত্যাগ করেছেন। তবে আকরাম খান, ইফতেখার রহমান মিঠু, ফাহিম সিনহাদের মতো তিনিও দায়িত্ব চালিয়ে যান বিসিবিতে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রাউন্ডস কমিটির সঙ্গে হাই পারফরম্যান্স এবং টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির দায়িত্বও পান মাহবুব আনাম। এ ছাড়া কদিন আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানও হয়েছেন মোহামেডানের সাবেক এই ক্রিকেটার। দায়িত্ব পেয়েই বিপিএলকে নতুন করে গোছানোর চেষ্টায় আছেন তিনি।
চলতি বছরের অক্টোবরে হওয়ার কথা রয়েছে বিসিবির আগামী নির্বাচন। যদিও সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়। পরবর্তী নির্বাচন শেষে আগামীতে যারা বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন তাদের অন্যতম একজন মাহবুব আনাম। এমন গুঞ্জন থাকলেও বিসিবির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চাওয়ায় সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাচ্ছে।
বোর্ডে থাকাকালীন প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাকে। বিশেষ করে গ্রাউন্ডসের মানের উন্নতি না হওয়ায় বিস্তর অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ডের বাইরে তাঁর বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ সামনে আসায় বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালে মাহবুব আনামকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দুদক। এ ছাড়া পরের বছর দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল।
১৯৮৫ সালে খেলা ছাড়ার পর মোহামেডানের প্রতিনিধি হিসেবে সিসিডিএমের সদস্য হয়েছিলেন মাহবুব আনাম। পরবর্তীতে ২০০১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিবি) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হোন। সবশেষ কয়েক বছরে কাজ করছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। একটা সময় বিসিবির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।