বড় ব্যবধানের হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ছবি: হাফ সেঞ্চুরির পর কুশল মেন্ডিস, ক্রিকফ্রেঞ্জি

১৫৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। তাতে ভর করেই ১ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে টানা তিন চার মেরে শুরু করেন নিশাঙ্কা। যদিও লঙ্কান এই ওপেনার আউট হয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির আগেই। ৪২ রান করা এই ব্যাটারকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
ভারত না এলেও এসিসি সভা ঢাকাতেই
৪ মিনিট আগে
এরপর আরেকটি জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান কুশল মেন্ডিস ও কুশল পেরেরা। এই দুজনের ৪২ রানের জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। এই স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৫ বলে ২৪ রান করা কুশল।
এরপর তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো। তবে শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি মেন্ডিস। তিনি শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে কাভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ৭৩ রানে। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৫টি চার ও ৩টি চারে। এরপর শ্রীলঙ্কাকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন আভিষ্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কা।

একাদশে ৪ ওপেনার ও জাকেরকে না খেলানোর ব্যাখ্যা দিলেন সিমন্স
২৭ মিনিট আগে
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে প্রত্যাশিত শুরুই এনে দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চামিকা করুনারত্নকে চার মেরে শুরু করা ইমন সেই ছন্দ ধরে রাখেন পরের ওভারগুলোতেও। বাঁহাতি ওপেনারের সঙ্গে দারুণভাবে সঙ্গ দিতে থাকেন তানজিদও। তাদের দুজনের ব্যাটেও প্রথম ৪ ওভারেই কোন উইকেট না হারিয়েই ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন নুয়ান থুসারা।
ডানহাতি পেসারের আগের বলেই ফ্লিক করে চার মেরেছিলেন তানজিদ। তবে থুসারের পরের লো ফুলটস ডেলিভারিতে শর্ট মিড উইকেটে থিকশানার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার। এক উইকেট হারানোর পরও পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তোলে সফরকারীরা। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের রান তোলার গতি কমতে থাকে। দ্রুত রান তুলতে না পেরে জেফ্রি ভ্যান্ডারসের গুগলিতে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন লিটন।
১১ বলে ৬ রান করা বাংলাদেশের অধিনায়ক রিভিউ নিলেও সেটা কাজে আসেনি। পরের ওভারে থেমেছে পারভেজ ইমনের ইনিংস। দারুণ ব্যাটিংয়ে ২২ বলে ৩৮ রান করা বাঁহাতি ওপেনারকে ফিরিয়েছেন মাহিশ থিকশানা। ডানহাতি স্পিনারের বলে বাউন্ডারি পাওয়ার আশায় লং অফে শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। পাঁচে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ডানহাতি ব্যাটারকে ফেরাতে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে টানা বোলিং করে যাচ্ছিলেন শানাকা। শেষ পর্যন্ত সাফল্যও পেয়েছেন তিনি।
শানাকার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটকিপারকে ক্যাচ দিয়েছেন। ৮৯ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেও দ্রুত রান তুলতে পারেননি মিরাজ ও নাইম শেখের কেউই। তাদের দুজনের ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন থিকশানা। ডানহাতি স্পিনারকে উড়িয়ে মারার চেষ্টায় মিড অফে আসালাঙ্কাকে ক্যাচ দিয়েছেন ২৯ রান করা মিরাজ। আরেক ব্যাটার নাইম অপরাজিত ছিলেন ৩২ রান। শেষ দিকে শামীমের দুই ছক্কায় ১৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার হয়ে থিকশানা দুটি উইকেট নিয়েছেন।