সিরিজের মাঝ পথে ‘অধিনায়কত্ব ছাড়া’ নিয়ে আলোচনা চান না শান্ত

ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাজমুল হোসেন শান্ত, ক্রিকফ্রেঞ্জি

এর আগে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেয়ার জন্য শান্ত নিজেই টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন এবং টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তৎকালীন বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনার পর তাকে এই দুই ফরম্যাটে অধিনায়ক হিসেবে রাখার সিদ্ধান্তও হয়েছিল।
ড্রেসিংরুমের কেউ ব্যক্তিগত মাইলফলকের জন্য খেলে না: শান্ত
৩ ঘন্টা আগে
যদিও গত ১২ জুন এক জরুরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিসিবি তাকে ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে নতুন দায়িত্ব দেয়। সাধারণত বোর্ডের এজেন্ডায় আলোচনার পর অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, কিন্তু শান্তর ক্ষেত্রে সেই প্রথা মানা হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে এ কারণেই ক্ষোভ বয়ে বেড়াচ্ছেন শান্ত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে টানা দুই সেঞ্চুরি করে প্রশংসায় ভাসছেন শান্ত। যদিও বাংলাদেশকে সেই ম্যাচে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। সিরিজের মাঝ পথেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার গুঞ্জন নিয়ে কথা বলতে হয়েছে শান্তকে। যদিও তিনি সরাসরি কোনো কিছু বলেননি। জানিয়েছেন সিরিজের মাঝ পথে এগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চান না তিনি।

আবারও আঙুলে চোট, পর্যবেক্ষণে শান্ত
৪ ঘন্টা আগে
শ্রীলঙ্কায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'আলোচনা তো এই টেস্টের আগে থেকেই হচ্ছে। আলোচনা হচ্ছে হতে থাক। আমি এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ দুইদিন পরেই টেস্ট ম্যাচ। টেস্ট ম্যাচটা ভালোভাবে খেলতে চাই। টেস্ট ম্যাচটাতে ভালোভাবে কন্ট্রিবিউট করতে চাই অধিনায়ক হিসেবে, ব্যাটার হিসেবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আলোচনাটা আলোচনার জায়গায় থাক।'
মাঠের বাইরের আলোচনাকে তিনি এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিচ্ছেন না শান্ত। তার মূল লক্ষ্য অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের জন্য অবদান রাখা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এ ধরনের আলোচনা যে দলের জন্য কতটা অস্বস্তিকর এবং মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটায়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন শান্ত। এমন পরিস্থিতিতে এমন আলোচনা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে মনে করেন শান্ত।
তিনি বলেন, 'কঠিন (সিরিজের মাঝখানে এই ধরনের আলোচনা)। এটা এটা আসলে এরকম হওয়া উচিত না। সত্যি বলতে এই ধরনের আলোচনাই হওয়া উচিত না। ইভেন শুধু টেস্ট ম্যাচের সময় না, কোনো ফরম্যাটের সময়ই এটা হওয়া উচিত না। আমি বলব যে এই ধরনের আলোচনা অন্তত সাত-আট দিন আগে থেকেই না হওয়া ভালো। বা তারও আগে। যত আগেই কমপ্লিট হয়ে যাবে ততই ভালো।'
পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে বাইরের আলোচনাকে দূরে সরিয়ে রেখে ভালো খেলার প্রত্যাশা নিয়ে শান্ত বলেন, 'প্রফেশনাল ক্রিকেটার আমরা সবাই। যার যার জায়গা থেকে আসলে চেষ্টা করবে সবাই ওই জায়গাটাতে কিভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারে রাদার দেন বাইরে কি আলোচনা হচ্ছে।'