বিজয়কে আরেকটি সুযোগ দেয়ার পক্ষে বাশার
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
এনসিএলের সবশেষ আসরে খুলনা বিভাগের হয়ে ১৩ ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ৭০০ রান করেছিলেন বিজয়। ডানহাতি ব্যাটারের চেয়ে বেশি রান করেছিলেন কেবল সিলেট বিভাগের অমিত হাসান। পরবর্তীতে বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর হয়ে ১২ ইনিংসে ১ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৯২ রান করেছিলেন। সেই ফর্ম ধরে রেখেছিলেন ডিপিএলেও। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে ৭৯.৪৫ ও ৯৭.৪৩ স্ট্রাইক রেটে ৮৭৪ রান করেছিলেন। সমান চারটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ 'এ' দলে সোহান-বিজয়-মুস্তাফিজরা
২৬ এপ্রিল ২৫
এমন পারফরম্যান্সের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজেই মাঝেই জাকির হাসানের বদলি হিসেবে জাতীয় টেস্ট দলে সুযোগ মেলে বিজয়ের। ২০২২ সালের জুনের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর দলে ফেরা ডানহাতি ওপেনারকে একাদশেও রাখা হয়। নিজের খেলা প্রথম ম্যাচেই ৩৯ রান করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও খেলেছেন বিজয়। তিনটি একদিনের ম্যাচে যথাক্রমে ৩৮, ৩৯ এবং ২ রান করেছিলেন ৩২ বছর বয়সি এই ব্যাটার। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম চার দিনের ম্যাচে ২৪ ও ১৬ রান করেছিলেন।
পরের ম্যাচে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৮ ও ২৪ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের একাদশে ছিলেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১০ বলেও রানের খাতা খুলতে না পারা ডানহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছেন ৪ রানে। জাতীয় দলে ফেরার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় দল ও ‘এ’ দলের হয়ে ১০ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। অর্থাৎ ১০ ইনিংসেও একটা হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে না পারলেও এখনই বিজয়কে বাদ দেয়ার পক্ষে নন বাশার।
শান্তকে সহযোগিতা করলে এমন ইনিংস আরও আসবে, বিশ্বাস বাশারের
৪ ঘন্টা আগে
এ প্রসঙ্গে বাশার বলেন, ‘আমার মনে হয় এনামুল হক বিজয় দলে এসেছেন পারফর্ম করে। জনপ্রিয়তা দিয়ে আসলে কেউ দলে খেলে না। আমার এমনটা মনে হয় না। বিজয় কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও বেশ ভালো রান করে। গত বছর ৭০০ রান করেছে। এমন না যে শুধু সাদা বলে...আমরা বলছি যে সাদা বলের ব্যাটিং দেখে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ওর লাল বলের কিন্তু রেকর্ড যদি দেখেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দারুণ। সবসময় খুলনার হয়ে সবার উপরে থাকতো। সুতরাং এইজন্যই হয়তো ওকে টেস্ট ম্যাচে বিবেচনা করা হয়েছে। কিন্তু একটা তো ব্যাপার আছে যে ওর টেস্ট ম্যাচে ঘরোয়ার ফর্মটা, টেস্ট ম্যাচে খুব একটা করতে পারেনি। কিন্তু তাকে নেয়া যখন হয়েছে, আমার মনে হয় তাকে আরেকটি সুযোগ দেয়া উচিত।’
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের দলে ওপেনার হিসেবে বিজয়ের সঙ্গে আছেন শুধু সাদমান ইসলাম। গলে টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে সাদমান নিজের জায়গাটা পোক্ত করেছেন। প্রথম টেস্টের আগে গুঞ্জন ছিল ওপেনার হিসেবে দেখা যেতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তকে। যদিও মেহেদী হাসান মিরাজ না থাকায় চারে ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। পরের টেস্টে বিজয়কে সরিয়ে ওপেনিংয়ে আসতে পারেন শান্ত। এমন গুঞ্জন থাকলেও বাশারের চাওয়া টেস্টে খেলানো হোক বিশেষজ্ঞ ওপেনার।
তিনি বলেন, ‘একটা টেস্ট ম্যাচ খেলানো হয়েছে এবং যেহেতু ওপেনার দুইজনই নিয়ে গেছি আমরা, একটা কথা তো শুনেছিলাম যে শান্তকে ওপেন করানো হবে এই টেস্টের আগে। যেটা আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ আমার মনে হয় যে যদিও শান্ত এমন একজন ব্যাটার কিংবা মানুষ ওকে যদি বলে দলের দরকার তুমি ওপেন কর, ও ওপেন করতে নেমে যাবে। কিন্তু আমার মনে হয় না যে এটা ভালো ব্যাপার। ওপেনিং একটা বিশেষজ্ঞ পজিশন। এখানে একদম যারা ওপেনার তাদেরই ওপেন করা উচিত। আর যারা তিন নাম্বার, এমনকি তিন নাম্বারও কিন্তু ইজ নাম্বার থ্রি। তিন নাম্বার কিন্তু ওপেনার না। সেই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যেহেতু ওপেনার আমরা দুইজন নিয়েছি, তাদের উপরেই আরেকটা ম্যাচ দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
