তিন অভিযোগে বিসিবিতে আবারও দুদকের অভিযান

ছবি: বিসিবিতে দুদকের চার সদস্যের দল, ক্রিকফ্রেঞ্জি

১৭ মে (শনিবার) দুপুরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসেন দকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের একটি দল। বিসিবিতে আসার পর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন তারা। প্রায় ঘণ্টা ধরে সেসব পর্যালোচনাও করেছে দুদকের সদস্যররা। যদিও এখনই সেই পর্যালোচনা শেষ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।
২০২৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের দায়িত্বে টেইট
১২ মে ২৫
পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজু আহমেদ বলেন, ‘আজকে অভিযানের বিষয়টা ছিল, তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অনিয়ম ও পাশাপাশি বিসিবিকে গঠনতন্ত্র এবং অন্যান্য আর্থিক অথবা বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় সার্বিক অভিযোগ নিয়ে আমরা এসেছি। এসব অভিযোগের আলোকে আমরা বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। সেগুলো সকাল থেকে পর্যালোচনা করলাম। বিভিন্ন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট যারা আছে, তাদের সবার সঙ্গে কথা বললাম। আরও কিছু রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করব, কিছু বক্তব্য গ্রহণ করব।’
১৫ এপ্রিল বিসিবিতে আসা দুদকের সদস্য দলের কাছে তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগ নিয়ে একটি অভিযোগ ছিল। বছর দশেক পর কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে টুর্নামেন্টটি। ২০১৪-১৫ মৌসুমে লিগে খেলার ফি ৭৫ হাজার থাকলেও পরবর্তীতে সেটা ৫ লাখ করা হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেয়ায় দলগুলো টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সবশেষ কয়েক বছরে চার-পাঁচটি দল নিয়েও টুর্নামেন্ট হয়েছে।

ফারুক আহমেদ সভাপতি হওয়ার পর লিগের ফি ১ লাখে নামিয়ে নিয়ে আসেন। এ ছাড়া বিভিন্ন শর্ত তুলে নেয়ায় তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগে ৬০টি দল অংশ নেয়। প্রথমবার বিসিবিতে আসা দুদকের সদস্যরা এসব নিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। মাসখানেক পর আসা দুদকের দলটিও একই কাজ করেছেন।
সুনির্দিষ্ট ৩ অভিযোগ নিয়ে বিসিবিতে দুদকের অভিযান
১৫ এপ্রিল ২৫
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশগ্রহণ একসময় খুব সহজ ছিল। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে দেখা যায় কিছু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। এই ইস্যুটা কতটুকু স্পষ্ট বা স্বচ্ছ কি না, এর বৈধতা কেমন, বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ছিল কিনা, সেটা দেখলাম।’
দুদকের কাছে তৃতীয় অভিযোগটি ছিল বিসিবির গঠনতন্ত্র নিয়ে। দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, তাদের কাছে অভিযোগ ছিল বিসিবির গঠনতন্ত্রে কিছুটা অসঙ্গতি রয়েছে। পর্যালোচনা শেষে তারাও কিছুটা অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন। চাকরির সঠিক নীতিমালা না থাকার বিষয়টি সামনে এনেছে দুদকের সদস্য দলটি। সবগুলো বিষয় নিয়ে আরও যাচাই-বাছাই করতে চান তারা।
এ প্রসঙ্গে রাজু আহমেদ বলেন, ‘বিসিবির গঠনতন্ত্র কতটুকু বৈধ বা সিদ্ধ, সেগুলো পর্যালোচনা করেছি। আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল যে, গঠনতন্ত্রে কিছু অসঙ্গতি আছে। এই বিষয়ে আদালতের একটা রায় ছিল, সেই আলোকে সংশোধিত হয়ে গঠনতন্ত্র পরিচালিত হচ্ছে। বিসিবি একটি সুসংগঠিত কাঠামোবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তৈরি হওয়ার কথা ছিল।
‘কিন্তু এই জায়গায় আমরা গ্যাপ দেখেছি। এখানে চাকরির সঠিক নীতিমালা নেই। আরও কিছু গ্যাপ দেখেছি। এই বিষয়টা আমরা আরও পর্যালোচনা করতে চাই। দেখতে চাই, আদতে এই ব্যাপারটা কেমন? ভবিষ্যতে কী পরিকল্পনা আছে, বিগত সময়ে কেন তৈরি করা হয়নি, সেই বিষয়গুলো আমরা যাচাইবাছাই করব।’