জাতীয় দলের ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন

ছবি: গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন খালেদ মাহমুদ সুজন, ক্রিকফ্রেঞ্জি

বাংলাদেশ টাইগার্সের বেশ কয়েকটি ক্যাম্পে কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিজানুর রহমান, সোহেল ইসলাম, আফতাব আহমেদ, নাজমুল হোসেন, তালহা জুবায়েররা। সিরিজ বা সফরভিত্তিক এমন ক্যাম্প হলেও সেটা পুরো বছর জুড়ে চালিয়ে নিয়ে গেলে আরও বেশি কাজে আসবে বলে মনে করেন অনেকে। মিরপুরের বাইরে দেশের ক্রিকেটে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়া ক্রিকেটাররা নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে পারেন না।
‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
১৩ মার্চ ২৫
এমন কী এইচপি ক্যাম্প, ‘এ’ দলের ক্যাম্প ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প না হলে ভবিষ্যত তারকারাও প্রস্তুতির ঘাটতিতে থাকেন। ফলে কোনো ক্রিকেটারের বিকল্প প্রয়োজন হলে সেটা তৎক্ষণাৎ খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায় নির্বাচকদের জন্য। খুঁজে পাওয়া গেলেও ক্রিকেটাররা কতটা প্রস্তুত থাকেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। এমনটা থেকে বেরিয়ে আসতেই জাতীয় দলের বাইরে একটা ছায়া কোচিং প্যানেল চান সুজন।
মিরপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রধান কোচ যিনি হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের তার অধীনে আরও একটা ছায়া কোচিং টিম লাগবে। যারা জাতীয় দলের তারা সফরে যাবে কিন্তু একটা ছায়া কোচিং টিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি। যারা ফিল সিমন্স বা যিনি প্রধান কোচ থাকবে তার সঙ্গে কাজ করবে বা যিনি ব্যাটিং কোচ বা স্পিন বোলিং কোচ তার সঙ্গে কাজ করে। আপনি যখনই চলে (সফরে) যাবেন তখন ছেলেগুলোকে পরিচর্যা করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার ১৫ জনের একটা স্কোয়াড আছে, আরও ১৫ জন খেলোয়াড়কে আপনার তৈরি রাখতে হবে। এর মধ্যে অফ ফর্ম হবে, ইনজুরি হবে অনেক কিছুই হতে পারে।’

কদিন আগে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করা হলেও সেখানে ছিলেন না শামীম হোসেন পাটোয়ারি। সুজনের চাওয়া জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ১৫ ক্রিকেটারকে রুকি চুক্তিতে রাখা যেতে পারে। ডিপিএল, বিপিএল কিংবা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেললেও তারা যেন বিসিবির অধীনে ডায়েট, অনুশীলন সুবিধা পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের প্রস্তুত রাখতেই এমন পন্থা অবলম্বন করতে বলছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক।
পরের প্রজন্মের জন্য ট্রফি জিততে চান মিরাজ
১৫ মার্চ ২৫
সুজন বলেন, ‘একটা প্রশ্ন ছিল শামীম পাটোয়ারিকে কেন আমরা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখলাম না। এরকম ১৫ জন খেলোয়াড়কে যদি আপনি রুকি চুক্তি দিয়ে...তারা বিসিবির সাথে অনুশীলন করবে, জাতীয় দলের শোকেজ অনুশীলন করবে। যখন প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএল, প্রথম শ্রেণির সময় এসব খেলবে কিন্তু তারা সবসময় একটা অনুশীলনের মধ্যে থাকবে, স্কাউটিংয়ের মধ্যে থাকবে। তারা কী করছে, তাদের ডায়েট কী হবে তাহলে জাতীয় দলের পরবর্তী লাইন আপ কিন্তু পাবেন।’
সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও কাজ করেছেন তিনি। গুঞ্জন আছে, সালাহউদ্দিনের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে ইতিবাচক বিসিবি। এদিকে লম্বা সময় ধরে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সুজনকে কোনো প্রস্তাব দেয়নি দেশের ক্রিকেট বোর্ড। সুজনের ধারণা, তাকে হয়ত বিসিবি যোগ্য মনে করে না। সেটা নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ নেই তার।
সুজন বলেন, ‘বিসিবি হয়তো আমাকে যোগ্য মনে করে না সেরকম বড় কোচের ব্যাপারে। আমি ওইটা নিয়ে চিন্তিত না। যদি কোনো সময় ডাকে আমি চিন্তা করব। আমাকে এখনও সেভাবে বলা হয়নি। সত্যি বলতে আমার পেশাটাই কোচিং। এটা গুরুত্বপূর্ণ না। কোচ এখন অনেক তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে। আমরা সবার উপর বিশ্বাস রাখতে পারি, আমাকেই করতে হবে এমন না। তরুণ যারা কোচ এসেছে তারা খুব ভালো করছে। আমার কথা হচ্ছে একটা ছায়া কোচিং প্যানেল তৈরি করা উচিত আসলে।’