ওয়ানডে থেকে মুশফিকের অবসর

ছবি: মুশফিকুর রহিম

ভারতের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় খানিকটা ‘দ্বিতীয় সারির’ অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শেষে তরুণদের জায়গা করে দিতে ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন স্মিথ। তারকা ব্যাটারের এমন ঘোষণায় বিপাকে পড়েন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা স্মিথকে যতটা প্রশংসায় ভাসাচ্ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে ঠিক ততোটাই সমালোচনায় বিদ্ধ করছিলেন।
অবসরের সিদ্ধান্ত প্লেয়ারের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত: আকরাম
১৭ ঘন্টা আগে
দিনের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই সমালোচিত হয়েছেন, বিদ্রুপ মন্তব্যের শিকারও হয়েছেন। এত কিছু হয়ত এড়ায়নি মুশফিকের চোখেও। সবার প্রত্যাশা মিটিয়েই হয়ত ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মুশফিক। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে পেজে গত কয়েক সপ্তাহের চ্যালেঞ্জিং সময়ের কথা শুনিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেট ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।

এ প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে মুশফিক লিখেছেন, ‘আজ আমি ওয়ানডে সংস্করণ থেকে অবসর ঘোষণা করছি। সকল কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। যদিও বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করলে আমাদের অর্জন সীমিত হতে পারে। তবে একথা নিশ্চিত যে, যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নামতাম, নিষ্ঠা ও সততার সাথে শতভাগের বেশি দিয়ে খেলতাম।’
দ্য হান্ড্রেডের ড্রাফটে বাংলাদেশের ২৯ ক্রিকেটার
৮ ঘন্টা আগে
‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল, এবং আমি উপলব্ধি করেছি যে এটাই আমার ভাগ্য। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন:“তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা সম্মান কেড়ে নেন।” (সুরা আল ই ইমরান, ৩:২৬)। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সকলকে সঠিক ঈমান দান করুন।সবশেষে, আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পরিবার, বন্ধু এবং আমার ভক্তদের, যাদের জন্য আমি গত ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলে এসেছি।’
২০০৬ সালের আগষ্টে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। কদিন আগে নিজের শেষ ওয়ানডে খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ২৭৪ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৬.২৬ গড়ে ৭ হাজার ৭৯৫ রান করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ওয়ানডের আগে টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসর নিয়েছেন তিনি। আপাতত টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।