শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ঢাকার কাছে হারল সিলেট
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় সিলেট। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে পাঁচ বলে তিন রান করে বোল্ড হন জর্জ মানজি। মোসাদ্দেকের ফ্ল্যাট ডেলিভারিতে স্কিড করা বলে স্টাম্প ভাঙে তার। পঞ্চম ওভারের মধ্যে জাকির হাসানের উইকেট হারায় সিলেট। ইনফর্ম এই ব্যাটার মুস্তাফিজুর রহমানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ফেরার আগে সাত বলে আট রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে'তে দুই উইকেটে ৩৭ রান করে সিলেট।
জাকিরের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর সিলেটকে জেতালেন রনি-আরিফুলরা
১০ জানুয়ারি ২৫৩২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর রনি এবং অ্যারন জোন্সের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে সিলেট। ১০ ওভারে দুই উইকেটে ৭৯ রান তোলে দলটি। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান রনি। এর একটু পর ৪০ বলে এই জুটি পঞ্চাশ রান তোলে। ১২.২ ওভারে দলীয় শতরানের দেখা পায় সিলেট। দলীয় ১১২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সিলেট। থিসারা পেরেরার চতুর্থ স্টাম্প তাক করা লেংথ ডেলিভারিতে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে মিস টাইমিং করেন জোন্স। বল উপরে চলে যায়, সেটি লুফে নেন পেরেরা। ৩২ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নেন জোন্স।
এর এক ওভার পর রনিকেও ফেরান পেরেরা। তার ফুল লেংথের বল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন রনি। বোল্ড হওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন রনি। ১২৭ রানের মধ্যে রনির উইকেটও হারায় সিলেট। শেষদিকে ১৩ বলে ২৮ রানের ক্যামিও খেলেন জাকের। সমান বলে ২৯ রানের ক্যামিও খেলেন রনি। সামিউল্লাহ সিনওয়ারীর ব্যাটে আসে চার বলে ১২ রানের ইনিংস। তারপরেও ম্যাচটি হারে সিলেট।
চট্টগ্রারের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এর আগে লিটন এবং থিসারার ইনিংসে বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় ঢাকা। পাওয়ার প্লে'তে তানজিদ হাসান তামিমের উইকেট হারিয়ে এক উইকেটে ৫৩ রান তোলে ঢাকা। ১৬ বলে ২২ রান আসে তানজিদের ব্যাটে। মাঝে জেপি কোটজের উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর দলীয় ৬২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। ৭ বলে ৪ রান করে সামিউল্লাহ শিনওয়ারীর বলে ফিরে যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
লিটন-রিশাদ-নাহিদকে নিয়ে কেমন হলো পিএসএলের ৬ দলের স্কোয়াড
১৩ জানুয়ারি ২৫শিনওয়ারীর অফ স্টাম্প তাক করা ফুল টস বলে ডাউন দ্যা গ্রাউন্ডে খেলতে গিয়ে লং অফে অ্যারন জোন্সের মুঠোয় ধরা পড়েন মোসাদ্দেক। এরপর লিটন দাস ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে এগিয়ে যায় ঢাকা। এদের ব্যাটে ১৪ ওভারে ঢাকা একশ রানে পৌঁছায়। ১৫ তম ওভারে ফিরে যান সাব্বিরও। টিপু সুলতানের শর্ট বলে ব্যাকফুটে গিয়ে অন সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন সাব্বির। ফলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান এই ব্যাটার। ২১ বলে ২৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে লিটনের সঙ্গে তার ৪২ রানের জুটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে সুমন খানের লেংথ ডেলিভারি মিড অফ দিয়ে উড়িয়ে ছক্কা মেরে ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন।
পঞ্চম উইকেটে থিসারা পেরেরাকে নিয়ে ৮১ রান যোগ করেন লিটন। লিটন অবশ্য শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি তিনি ৪৮ বলে ৭০ রান করে রুয়েল মিয়ার শিকার হয়েছেন। রুয়েলের করা লেন্থ বলে এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা ডিপে ধরা পড়েছেন সুমন খানের হাতে। খানিক বাদে ফিরে গেছেন থিসারা পেরেরাও।১৭ বলে ৩৭ রান করে সুমন খানের বলে লং অনে দারুণ ডাইভিং ক্যাচ নিয়েছেন আরিফুল হক। এরপর ফারমানউল্লাহ শাফি ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ মিলে ঢাকার সংগ্রহ পৌঁছে দেন ১৯৬ রানে।