আমি ফিনিশার, আমার কাজই মারা: শামীম
ছবি: ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা শামীম হোসেন পাটোয়ারী, উইন্ডিজ ক্রিকেট
টপ অর্ডার ব্যাটাররা যেখানে দাঁড়াতেই পারছিলেন না সেখানে চার-ছক্কায় বাংলাদেশের রান একশ পার করেছেন শামীম। শুধু তাই নয় মাত্র ১৭ বলে সমান দুটি করে ছক্কা ও চারে অপরাজিত ৩৫ রান করেছেন। বাঁহাতি ব্যাটারের এমন ইনিংসেই ১২৯ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা। ম্যাচ ও সিরিজ জিততে বাকি কাজটা সেরেছেন বোলাররা। তবে সেন্ট ভিনসেন্টে ঝড় তুলে ম্যাচসেরা হয়েছেন শামীম।
সবশেষ কয়েক মাসের পরিশ্রমের ফলই এখন পাচ্ছেন বলে মনে করেন তিনি। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসেছে বাঁহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘কত দিন পর জাতীয় দলে ফিরেছি, তাই খুব ভালো লাগছে। আমি হলাম ফিনিশার, আমার কাজই হলো মারা। শেষ কয়েক মাসে পরিশ্রম তো কম করিনি।’
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলা ইনিংস নিয়ে ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শামীম বলেন, ‘সবসময় চিন্তা থাকে দল যেমনই থাকুক আমি আমার মতো খেলতে পারলে টিম অনেক উপরে চলে যাবে। সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে ফেরার আগে লাল সবুজের জার্সিতে শামীম খেলেছিলেন গত বছরের ডিসেম্বরে। মাঝে এক বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্যাম্প, হাই পারফরম্যান্স ইউনিট ও ইমার্জিং দলের হয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফিনিশার হিসেবে নিজের প্রস্তুতিও নিয়েছেন শামীম।
যেখানে বেশ কিছু ভালো ইনিংসও খেলেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই ভালো খেলার রসদ পেয়েছেন বলে জানান তিনি। ম্যাচ শেষে শামীম বলেন, ‘আসলে আমি শেষ যতগুলো ম্যাচ খেলেছি এইচপি, ইমার্জিং দল সবগুলোতে ভালো খেলে এসেছি। তো সেজন্য আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম সুযোগ পেলে ভালো করব ইনশাআল্লাহ।’
দলের প্রয়োজনে এমন ইনিংস খেলায় ব্যাটিং কোচ ও সহকারী সিনিয়র কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের বাহবা পেয়েছেন শামীম। ব্যাটিং শেষে যখন ড্রেসিং রুমে যখন ফেরেন তখন বাঁহাতি ব্যাটারের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন সালাহউদ্দিন। এদিকে বছরখানেক দলের বাইরে থাকলেও এসব নিয়ে চিন্তা না করে ইতিবাচক থেকে জাতীয় দলে ফিরতে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানান বাঁহাতি এই ব্যাটার।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সালাউদ্দিন স্যার মাথায় দিয়ে বাহবা দিয়েছে। বলেছে ভালো ব্যাটিং করেছ। বাদ পড়া নিয়ে চিন্তা করি না। আমি ইতিবাচক থাকতে পছন্দ করি। আমি খুশি থাকতে পছন্দ করি। আমি জানি আমি যেকোন সময় কামব্যাক করতে পারব, এটাই আমার আত্মবিশ্বাস ছিল।’