ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ জিতে বাংলাদেশের ইতিহাস
ছবি: ফাইল ছবি
এমন জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতল সফরকারীরা। বিজয় দিবসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম জয়ের পর সিরিজ জয়ে চোখ ছিল বাংলাদেশের। ম্যাচের আগের দিন বিসিবির এক ভিডিওতে সেটাই বলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। সিরিজ জয়ে তাই ব্যাট হাতে বাঁহাতি ব্যাটার অবদান রাখলেন তাই দারুণভাবে। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমরা যেখানে দাঁড়াতেই পারছিলেন না সেখানে ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তাতে বাংলাদেশের পুঁজি একশ পেরিয়ে ১২৯ রানে থেমেছে।
শামীমের আগে বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী অনিক। সেন্ট ভিনসেন্টের লো স্কোরিং উইকেটে বাকি কাজটা করতো হতো সফরকারী বোলারদের। প্রথম দুই ওভারে সেটা করতে না পারলেও তাসকিনের হাত ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন লিটন দাসরা। তৃতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই ব্রেন্ডন কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে ফেরান তাসকিন। সেখান থেকেই বাংলাদেশের জয়ের গল্প শুরু। এরপর একে একে যোগ দিলেন মেহেদী, রিশাদ, হাসানরা। তাদের সবার দাপুটে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেমেছে মাত্র ১০২ রানে। বাংলাদেশও জয় পেয়েছে অনায়াসে।
সেন্ট ভিনসেন্টে জয়ের জন্য ১৩০ রান তাড়ায় ভালো শুরুই পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাসান ও মেহেদীর প্রথম দুই ওভার থেকে ১৯ রান এনেছিলেন ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস। তবে তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে কিং ও আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিয়েছেন। পাওয়ার প্লেতে চার্লস ও নিকোলাস পুরানের উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরেন অফ স্পিনার মেহেদী। রভম্যান পাওয়াল ও রোমারিও শেফার্ডও ফিরেছেন দ্রুতই।
মাঝে পাওয়েলের ক্যাচ মিস করে আঙুলের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সৌম্য সরকার। ৪২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ে তোলেন চেজ ও আকিল। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও শেষের দিকে এসে দ্রুত রান তোলায় মনোযোগ দেন তারা দুজন। তবে চেজ ৩২ ও শেষ ব্যাটার হিসেবে আকিল ৩১ রানে ফিরলে ২৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সফরকারীদের হয়ে তাসকিন নিয়েছেন তিন উইকেট। এ ছাড়া তানজিম, রিশাদ ও মেহেদী দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দ্রুতই লিটন, তানজিদ ও সৌম্যর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে সফরকারীদের এগিয়ে নিয়েছেন মিরাজ। দু’বার জীবন পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। আলজারি জোসেফের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে কিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ২৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে। প্রমোশন পেয়ে ছয়ে নামলেও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি রিশাদ।
মেহেদী ও জাকের মিলে বাংলাদেশকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। যদিও দলের রান একশ হওয়ার আগে ২১ রানে জাকের ও ১১ রান করে ফিরেছেন মেহেদী। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শামীম। দুটি করে চার ও ছক্কায় ২০৫.৮৮ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তাঁর ব্যাটেই মূলত ১২৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে মোতি দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১২৯/৭ (২০ ওভার) (সৌম্য ১১, লিটন ৩, তানজিদ ২, মিরাজ ২৬, জাকের ২১, মেহেদী ১১, শামীম ৩৫*)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ১০২/১০ (১৮.৩ ওভার) (কিং ৮, চার্লস ১৪, চেজ ৩২, আকিল ৩১; তাসকিন ৩/১৬, রিশাদ ২/১২, মেহেদী ২/২০, তানজিম ২/২২)