নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছেও বাংলাদেশের হার

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 21:40 বৃহস্পতিবার, 10 অক্টোবর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের। এমন সমীকরণের সামনে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১০৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ শুরু এনে দেন হেইলি ম্যাথিউস ও স্টেফান টেলর। শেষদিকে দুই ছক্কায় মাত্র ৭ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ৮ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন দেওয়ান্দ্রা ডটিন। এমন জয়ে সেমিফাইনালে দৌড়ে থাকল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাগজে-কলমে সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের জন্য সেরা চারে যাওয়ার কাজটা কঠিন। শেষ ম্যাচে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের প্রতিপক্ষ সাউথ আফ্রিকা।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০৪ রান তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা হয়েছে প্রত্যাশিতভাবেই। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান এলেও পরবর্তীতে চড়াও হয়ে উঠেন ক্যারিবীয় ওপেনাররা। নাহিদা আক্তারের বিপক্ষে দুই চার মারার পরের ওভারে ফাহিমা খাতুনকে মেরেছেন তিন চার। দলের রান পঞ্চাশ না হলেও পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৪৮ রান তোলেন ম্যাথিউস ও টেলর।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে জ্যোতি ব্যথা পাওয়ার কারণে খানিকটা বিরতির সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বিরতি থেকে ফিরে প্রথম বলেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন মারুফা আক্তার। ডানহাতি পেসারের গুড লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ম্যাথিউস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার ফিরেছেন ২২ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে। তাতে টেলরের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি ভাঙে ম্যাথিউসের।

শুরু থেকে দেখেশুনে খেলা টেলর ইনিংসের ১১তম ওভারে সময় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৯ বলে ২৭ রান করা ওপেনার ফেরার পর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন শেমেইন ক্যাম্পবেল। শেষ দিকে রাবেয়া খানের তিন বলে দুই ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেছেন ডটিন। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন মারুফা ও নাহিদা।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দিলারা আক্তার ও সাথী রানী মিলে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেয়ার আভাসই দিয়েছিলেন। প্রথম তিন ওভারে ১৮ রান তোলা বাংলাদেশ উইকেট হারায় কারিশমা রামহারাকের বিপক্ষে। কারিশমার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি সাথী। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পিং হয়েছেন ৯ রান করা এই ব্যাটার। আরেক ওপেনার দিলারাও ফিরেছেন পাওয়ার প্লে শেষের আগে।

দিলারাকে ফেরাতে ফাঁদ পেতে ছিলেন কারিশমা। বাংলাদেশের ওপেনারের বিপক্ষে শর্ট ফাইন লেগ এবং স্কয়ার লেগে ফিল্ডার রেখেছিলেন। এমন অবস্থায় ফাইন লেগের উপর দিয়ে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ১৮ বলে ১৯ রান করা দিলারা। ৩৩ রানে ২ উইকেট হারানোর পর জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তাদের দুজনের ৪০ রানের জুটি ভেঙেছেন কারিশমা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন সোবহানা। তিনে নামা ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরেছেন ১৬ রানে। আফি ফ্লেচারের বিপক্ষে টানা দুই বলে সাজঘরের পথে হেঁটেছেন তাজ নেহার ও স্বর্ণা আক্তার। একপ্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন জ্যোতি। ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত ক্যামিও ইনিংস খেলতে পারেননি রিতু মনি।

বাউন্ডারি পাওয়ার আশায় উড়িয়ে মারতে গিয়ে শেনেলি হেনরির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ১০ রান করা এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েছেন ৪৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংসে খেলা জ্যোতি। একই ওভারে রান আউট হয়েছেন ফাহিমা। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে মাত্র ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন কারিশমা।