ভারতের 'মাথাব্যথা' হেড
ছবি: ট্রাভিস হেড, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া
হেড যে ভারতের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তাকে নতুন উপাধি দিয়েছেন ভারতের সাবেক ব্যাটার, কোচ ও ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'তার নতুন উপাধি হল ট্র্যাভিস হেডেক (মাথা ব্যথা)। ব্যথার জন্য ভারতে সবাই বাম খুঁজে। পায়ের সমস্যা, গোড়ালির সমস্যা এমনকি মাথা ব্যথার জন্য বাম খুঁজে। সে এর জন্য আদর্শ।'
শর্ট বলের বিপক্ষে যেন দুর্বার হেড। গত তিন বছরে অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার অনেক উন্নতি করেছেন বলে দাবি শাস্ত্রীর। তিনি যোগ করেন, 'আমি মনে করি সে খুব চতুর। তিন বছর আগে আমি যা দেখেছি, সে অনেক উন্নতি করেছে। বিশেষ করে যেভাবে সে শর্ট বল খেলে। সে ভালোভাবে ছেড়ে দেওয়াও শিখেছে।'
শাস্ত্রীর মতে যে ডেলিভারির লাইন এবং দৈর্ঘ্য দ্রুত বিচার করা এবং শট নির্বাচনের দক্ষতা ভিন্ন পর্যায়ে নিয়ে গেছে হেডকে। এর ব্যাখ্যা করে শাস্ত্রী বলেছেন, 'এটি সবসময় একটি বড় শট নয়, যা তার বাহুর নিচে বা অন্য কোথাও কোণাকৃতির একটি শর্ট ডেলিভারি থেকে আসে। সে এটির উপরে গিয়ে বড় শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এবং যদি এটি মিডল, মিডল এবং অফ থাকে, তাহলে সে এটিকে স্কয়ারের দিকেও মারতে পারে।'
এমন ফর্মে থাকা অবস্থায় হেডকে আটকানো প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেন শাস্ত্রী। এমনকি অজি এই ব্যাটার ক্যারিয়ার সেরা ফর্মে আছেন বলেও দাবি তার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'সে বলের উচ্চতা খুব ভালো বেছে নেয়। এটি তার অন্যতম বড় শক্তি এবং তার অফসাইডে একটি ঝলমল করা ব্লেড রয়েছে। তাই তাকে আটকানো কঠিন এবং সে তার জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে।'
ভারতের সেরা বোলারদের একজন জসপ্রিত বুমরাহ। চলতি সিরিজে ১০.৯ গড়ে ২১ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় এই পেসার। তার বিরুদ্ধে দুইবার উইকেট হারালেও ৯১ বলে হেডের রান ৮৩। হেডের আত্মবিশ্বাসের কাছে এখানে বুমরাহ হেরে গেছেন বলে বিশ্বাস শাস্ত্রীর। তিনি বলেন, 'আমরা সবাই জানতাম সে বিপজ্জনক, কিন্তু জাসপ্রিত বুমরাহের বিপক্ষে সে প্রথম শট খেলেছিল, সেই কভার ড্রাইভ, ফ্রন্ট ফুট থেকে। এটি অনেকভাবেই কিছুটা উপরে ছিল, একটি একটি ভালো ডেলিভারি। এটি আমাকে জানান দিয়েছিলো যে এই খেলোয়াড় দারুণ ফর্মে রয়েছে।'