promotional_ad

আমি বিশ্বাস করি না আমরা এত খারাপ দল: শান্ত

ক্রিকফ্রেঞ্জি
promotional_ad

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||


পরিসংখ্যানের বিচারে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সফলতম বিশ্বকাপ। তবে সেরা বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স দিয়ে সমর্থকদের মন ভরাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা। উল্টো হতশ্রী ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ‘অদ্ভুত’ পরিকল্পনার জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিকেটারদের। সুপার এইটে ওঠা বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলার।


অথচ ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারানোর পর সেদিন সেরা চারে ওঠার জন্য খেলেইনি বাংলাদেশ। এমন মানসিকতা দেশের ক্রিকেটকে যে পিছিয়ে দিচ্ছে সেটা অন্তত বলার অপেক্ষা রাখে না। দর্শকদের সেই দুঃখ ঘুচানোর একটা বড় সুযোগ হতে পারতো ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ইতিবাচক ক্রিকেটের অপেক্ষায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হয়েছে।


সবশেষ কয়েক বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যতটা এগিয়েছে ২০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ যেন ততটাই পিছিয়ে গেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি কিংবা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, সবখানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। একটা সময় দেড়শ পেরনো পুঁজিতে জেতা গেলেও সেটা এখন দুইশর ঘরে গিয়ে পৌঁছেছে। অথচ বাংলাদেশ ১৭০ রান পার করে কালেভদ্রে। সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক শান্তও তাই অকপটে স্বীকার করে গেছেন তারা জানেন না কীভাবে ১৮০ রান করতে হয়।



promotional_ad

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স খারাপের দিকে যাচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অবশ্য নিজেদের এত খারাপ দল বলতে রাজী নন শান্ত। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘খারাপ হয়েছে যে সেটাও বলবো না। আমার মনে হয় যে, এর থেকে আমরা ভালো দল। শেষ অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করছি না। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না আমরা এত খারাপ দল।’


সিরিজ শুরুর দিন দুয়েক আগে নাজমুল শান্ত জানিয়েছিলেন, ভারত সিরিজ থেকে ক্রিকেটারদের মাঝে ভিন্ন এক অ্যাপ্রোচের দেখা মিলবে। সেটার ছিঁটেফোঁটা অবশ্য দেখা গেছে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই। আর্শদীপ সিংকে প্রথম স্লিপ এবং থার্ডম্যানের মাঝ দিয়ে চার মারার পরের বলেই বাউন্ডারির জন্য উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে টপ এজ হয়ে তাকে উইকেট দিতে হয়েছে। চাপের মুখে ছক্কার আশায় খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।


মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো নিজের খেলা দ্বিতীয় বলেই কভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ফিরেছেন এক রানে। জাকের আলী অনিক কিংবা রিশাদ হোসেনের ব্যাটিংয়েও ছিল সেটার ছাপ। তবে নতুন অ্যাপ্রোচ আর ইন্টেন্টে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ১২৭ রানে। সেটাও শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১১০ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে। শান্ত জানিয়েছেন, তিনি যে অ্যাপ্রোচের কথা বলেছিলেন সেটার জন্য শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ।


অথচ পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছে মাত্র ৩৯ রান। নিজেদের অ্যাপ্রোচ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘আমি যে অ্যাপ্রোচের কথা বলেছিলাম, সে জন্য ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ। শুরুটা ভালো হবে বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যায়। যারা ওখানে ভালো খেলছে, তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’



অ্যাপ্রোচ বদলাতে না চেয়ে বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে নিয়ে বলতে চাই না। আমরা সবাই মিলেই ব্যর্থ হয়েছি। আক্রমণাত্মক মানসিকতা থাকবেই, তবে কখন কোন শট খেলব, এটা বুঝতে হবে। এখনই এই অ্যাপ্রোচ বদলাতে চাই না। আমাদের এভাবে খেলে যেতে হবে, তবে ভালো শট নির্বাচন করতে হবে।’



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball