বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের আভাস

ছবি: সংগৃহীত

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেয় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে সাকিব আল হাসান ও মিরাজের স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি শান মাসুদরা। ৩০ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তাই ১০ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের মাটিতে তাদেরকে হারানোয় দ্বিতীয় টেস্টের আগে খানিকটা নির্ভার থাকতে পারেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। কারণ ৩০ আগষ্ট থেকে শুরু হওয়া টেস্ট হারলেও সিরিজ হারবে না বাংলাদেশ। এদিকে ড্র করলে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেবে সফরকারীরা। এমন অবস্থায়ও বাবর আজমদের বিপক্ষে আক্রমণাত্বক পরিকল্পনায় খেলার আভাস দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

কন্ডিশনের খুব বেশি পরিবর্তন না হলে এমন কিছু থেকে সরে আসার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘অবশ্যই, আমরা সবসময় আক্রমণাত্বক পরিকল্পনা নিয়েই এগোই। কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে আমাদের পরিকল্পনা পরিবর্তন হয়।’
‘প্রথম ম্যাচের সঙ্গে আমাদের প্রস্তুতির তেমন কোন পার্থক্য নাই। আমরা আমাদের শক্তি এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানি। প্রতিপক্ষের শক্তি এবং সীমাবদ্ধতা নিয়েও আমাদের বেশ ভালো ধারণা আছে। আমরা যখন পরিকল্পনা করি তখন উইকেট এবং আকাশের অবস্থা দেখতে হয়।’
সিরিজের প্রথম টেস্টে তিন পেসারের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে সাকিব ও মিরাজকে খেলিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে দ্বিতীয় টেস্টে স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন তাসকিন আহমেদ। রাওয়ালপিন্ডির ঘাসের উইকেটে একাদশে দেখা যেতে পারে ডানহাতি পেসারকে। প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরের টেস্টের একাদশে পরিবর্তন আনার আভাস দিয়ে রেখেছেন হাথুরুসিংহে। এদিকে দ্বিতীয় টেস্টেও লড়াইয়ের আশা করছেন তিনি।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘দলের সবার আত্মবিশ্বাস তো এখন খুবই ভালো। এটার অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। দেখুন, পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারানোর কাজটা একেবারে সহজ নয়। তারা খুবই শক্তিশালী দল, এখনও আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো লড়াইয়ের আশা করছি। কন্ডিশনের উপর নির্ভর করে আমরা কিছু পরিবর্তন আনতে পারি। যখন উইকেট দেখার সুযোগ পাব তখন সিদ্ধান্ত। আমরা এখন পর্যন্ত উইকেট দেখার সুযোগ পাইনি কারণ ঢেকে রাখা ছিল। আগের ম্যাচের চেয়ে আবহাওয়াও একটু ভিন্ন।’