ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারি আজ

ছবি:

আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। কারণ আজ ১০ই জানুয়ারির এই দিনেই টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছিলো ২২৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।
অবশ্য এই জয়টি আসতে পারতো ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টেই। ২০০০ সালের ১৩ই নভেম্বর পরাশক্তি ভারতের বিপক্ষে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে রীতিমত বিস্ময় উপহার দিয়েছিলো আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বাংলাদেশ।
সেই ম্যাচে বুলবুলের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৪০০ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড়া করিয়েছিলো টাইগাররা। ১৪৫ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন বুলবুল।
তবে দুর্ভাগ্যই বলতে হবে বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে দারুণ পারফর্ম করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। মাত্র ৯১ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচটি ৯ উইকেটে হেরে যেতে হয়েছিলো টাইগারদের।

এরপর দীর্ঘ পাঁচটি বছর ধরে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে যায় বাংলাদেশের। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০০৫ সালের ১০ই জানুয়ারি অর্থাৎ আজকের এই দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রথম জয়ের দেখা পায় তৎকালীন হাবিবুল বাশারের দল।
সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাটিং করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অধিনায়ক বাশারের ৯৪ এবং রাজিন সালেহর ৮৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৮৮ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড়া করায় বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ রফিক এবং মাশরাফি বিন মর্তুজার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩১২ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। রফিক ৬৫ রানে একাই ৫টি উইকেট শিকার করেন। অপরদিকে ৫৯ রানে নেন ৩ উইকেট নিয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন মাশরাফি।
১৭৬ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২০৪ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫৫ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন অধিনায়ক বাশার। আর এরই সাথে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮১ রান।
এই বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুইয়ানদের দিশেহারা করে দেন টাইগার স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র। একাই ৬ উইকেট শিকার করে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দেন এই বাঁহাতি। ফলে মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
আর ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে নেয় ২২৬ রানে। সেদিন এনামুল ছাড়াও মাশরাফি আর তাপস বৈশ্য নিয়েছিলেন ২টি করে উইকেট। সেবার শুধু প্রথম টেস্ট জয়ই পায়নি বাংলাদেশ। পাশাপাশি দ্বিতীয় টেস্ট ড্র করে সিরিজটিও নিজেদের করে নিয়েছিলো হাবিবুল বাশারের দল।